পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
বহুবিবাহ।

দায়ভাগ উদ্ঘাটন করিলে দেখিতে পাইবেন, মনুবচনের “ক্রমশো বরাঃ” এই স্থলে “বরাঃ” এই কয়টি অক্ষরের পূর্ব্বে একটি অকারের চিহ্ন আছে। যাহা হউক, মনুবচনের প্রকৃত পাঠ ও প্রকৃত অর্থ কি, তাহা তিনি, ভর্কবাচস্পতিপ্রকরণের প্রথম পরিচ্ছেদের আরম্ভভাগে দৃষ্টিপাত করিলে, অবগত হইতে পারিবেন।

 ন্যায়রত্ন মহাশয় যেরূপে অসবর্ণাবিবাহবিধির পরিসংখ্যাত্ব খণ্ডনে প্রবৃত্ত ইহয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত হইতেছে।

 “এই স্থলে পরিসংখ্যা করিয়া যে, কি প্রকারে সবর্ণার কামতঃ
 বিবাহ নিষেধ এবং অসবর্ণার কর্ত্তব্যতা প্রতিপাদন করিয়াছেন
 তাহা অস্মদাদির বুদ্ধিগম্য নহে। আমরা “তাশ্চ স্বা চাগ্র-
 জম্মনঃ” ইহা দ্বারা এইমাত্র বুঝিতে পারি যে, সেই অর্থাৎ
 ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা, শূদ্রা স্বা অর্থাৎ ব্রাহ্মণী ইহারই কামতঃ বিবাহিতা
 হইবে। এই স্থলে ব্রাহ্মণী পরিত্যাগ করা কোন্ শাস্ত্রীয়
 পরিসংখ্যা তাহা সংখ্যাশূন্য বুদ্ধিতে বুঝিতে পারেন। পঞ্চনখ
 ভোজন করবে এই স্থলে পরিসংখ্যা দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন
 হইয়াছে যে, পঞ্চনখের ইতর রাগপ্রাপ্ত কুকুরাদি ভক্ষণ করিবে
 না ইহাতে পঞ্চনখির মধ্যে কাহারও নিষেধ বুঝায় না। সেইরূপ
 প্রকৃত স্কুলেও ব্রাহ্মণী, ক্ষত্রিয়া, বৈশ্য, শূদ্রা ইহা ভিন্নের কামতঃ
 বিবাহ করিতে পারিবে না, ইহাই বোধ করিয়া এইক্ষণে পরি-
 সংখ্যালেখক মহাশয়ের উচিত যে, এ বিষয়ে বিশেষ রূপে
 প্রকাশ করুন তবেই আমরা নিঃসন্দেহ হইতে পারি এবং জিজ্ঞাসু
 দিগের নিকটে তাহার অভিপ্রায়ও বলিতে পারি” (৩)।

[১]

এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে,

 সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
 কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহবরাঃ॥ ৩।১২।


  1. {৩) প্রেরিত তেঁতুল, ১৬ পৃষ্ঠা।