পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৭৩

হইতেছে, পঞ্চনখ জন্তু কাহাকে বলে, এবং পঞ্চনখভক্ষণবিষয়ক বিধির আকার কিরূপ, এবং ঐ বিধির অর্থ ও তাৎপর্য্য কি, ন্যায়রত্ন মহাশয়ের সে বোধ নাই। আর, “এক্ষণে পরিসংখ্যালেখক মহাশয়ের উচিত যে, ঐ বিষয়ে বিশেষরূপে প্রকাশ করুন, তবেই আমরা নিঃসন্দেহ হইতে পারি”; এ স্থলে বক্তব্য এই যে, তর্কবাচস্পতি- প্রকরণের প্রথম পরিচ্ছেদে পরিসংখ্যাবিধির বিষয় সবিস্তর আলোচিত হইয়াছে। ন্যায়রত্ন মহাশয়, অনুগ্রহপূর্ব্বক ও অভিনিবেশ সহকারে ঐ স্থল অবলোকন করিবেন, তাহা হইলেই, বোধ করি, নিঃসন্দেহ হইতে পারিবেন।

 ন্যায়রত্ন মহাশয় লিখিয়াছেন,

 “আমাদের ঐ পরিসংখ্যার বিষয়ে বিশেষরূপে জানিতে
 ইচ্ছার কারণ এই কেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত স্মার্তের মধ্যে শিরোমণি
 বহুদশী প্রাচীন মহাত্মাও ঐ পরিসংখ্যা দর্শন করিয়া ‘যথার্থ
 ব্যাখ্যা হইয়াছে এটা বড়ই উত্তম অর্থ হইয়াছে” এইরূপ বার
 বার মুকণ্ঠে কহিয়াছেন। তিনিই বা কি বুঝিয়া ঈদৃশ
 প্রশংসা করিলেন"? {৭)।

[১]

এ স্থলে বক্তব্য এই যে, পরিসংখ্যাবিধির স্বরূপ পরিজ্ঞানের নিমিত্ত যথার্থ ইচ্ছু হইলে, এত আড়ম্বরপূর্বক পুস্তক প্রচারে প্রবৃত্ত না হইয়া, “প্রসিদ্ধ পণ্ডিত, স্মার্তের মধ্যে শিরোমণি, বহুদশী, প্রাচীন মহাত্মার” নিকটে উপদেশ গ্রহণ করিলেই, ররত্ন মহাশয় নিঃসন্দেহ হইতে পারিতেন। তাহার উল্লিখিত প্রসিদ্ধ পণ্ডিত সামান্য ব্যক্তি নহেন। ইনি কলিকাতাস্থ রাজকীয় সংস্কৃতবিদ্যালয়ে, ত্রিশ বৎসর, ধর্মশাস্ত্রের অধ্যাপনাকার্য্য সম্পাদনপূর্বক রাজদ্বারে অতি মহতী প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন এবং দীর্ঘকাল অবাধে ধর্ম্ম-

  1. প্রেরিত তেঁতুল, ১৭ পৃষ্ঠা।