পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
বহুবিবাহ।

শাস্ত্রের ব্যবসায় করিয়া, অদ্বিতীয় স্মার্ত বলিয়া সর্ব্বত্র পরিগণিত হইয়াছেন। ন্যায়রত্ন মহাশয় ইঁহার নিকট অপরিচিত নহেন। বিশেষতঃ, যৎকালে বহুবিবাহবিচারবিষয়ক গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, সে সময়ে সংস্কৃত বিদ্যালয়ে ঐ প্রসিদ্ধ পণ্ডিতের সহিত প্রতিদিন তাঁহার সাক্ষাৎ হইত। তত্ত্বনির্ণয় অভিপ্রেত হইলে, তিনি সন্দেহ- ভঞ্জনের ঈদৃশ সহজ উপায় পরিত্যাগ করিয়া পুস্তক প্রচারে প্রবৃত্ত হইতেন না। তদীয় লিখনভঙ্গী দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, তাঁহার মতে, মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুত ভরতচন্দ্র শিরোমণি পরিসংখ্যা- বিধির অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যগ্রহ করিতে পারেন নাই; এজন্যই তিনি, “যথার্থ ব্যাখ্যা হইয়াছে এটা বড়ই উত্তম অর্থ হইয়াছে”, আমার অবলম্বিত ব্যাখ্যার এরূপ প্রশংসা করিয়াছেন। “তিনিই বা কি বুঝিয়া ঈদৃশ প্রশংসা করিলেন?” তদীয় এই প্রশ্ন দ্বারা তাহাই সুস্পষ্ট প্রতিপন্ন হইতেছে। যাহা হউক, ন্যায়রত্ন মহাশয় নিজে পরিসংখ্যাবিধির যেরূপ অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যগ্রহ করিয়াছেন, তাহা ইতিপূর্ব্ব সবিশেষ দর্শিত হইয়াছে। ঈদৃশ ব্যক্তি সৰ্বমান্য শিরোমণি মহাশয়কে অনভিজ্ঞ ভাবিয়া শ্লেষোক্তি করিবেন, আশ্চর্য্যের বিষয় নহে।

 “প্রেরিত তেঁতুল” পুস্তকে এতদ্ভিন্ন রূপ আর কোনও কথা লক্ষিত হইতেছে না, যে তাহার উল্লেখ বা আলোচনা করা আবশ্যক। এজন্য, এই স্থালেই ন্যায়রত্নপ্রকরণের উপসংহার করিতে হইল।