পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সামশ্রমিপ্রকরণ

যদৃচ্ছাপ্রকৃত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রানুমদিত ব্যবহার, ইহা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত, শ্রীযুত সত্যব্রত সামশ্রমী যে পুস্তক প্রচার করিয়াছেন, উহার নাম “বহুবিবাহবিচারসমালোচনা”। আমি প্রথম পুস্তকে বহুবিবাহ রহিত হওয়ার ঔচিত্যপক্ষে যে সকল কথা লিখিয়া- ছিলাম, তংসমুদয়ের খণ্ডন করাই এ পুস্তকের উদ্দেশ্য। সামশ্রমী মহাশয়, এই উদ্দেশ্যসাধনে কত দূর কৃতকার্য্য হইয়াছেন, তাহার আলোচনা করা আবশ্যক। প্রথমতঃ, তিনি বহুবিবাহের শাস্ত্রীয় সংস্থাপনার্থে, অসবর্ণাবিবাহবিধায়ক মনুবচনের যে অদ্ভুত ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত ও আলোচিত হইতেছে।

 “বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রথম আপত্তি খণ্ডনে প্রবৃত্ত হইয়া বহু-
 বিবাহ শাস্ত্রনিষিদ্ধ প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন, কিন্তু
 তাহা বোধ হয় তাদৃশ মহৎ ব্যক্তির উক্তি না হইলে বিচার্য্যই
 হইত না।

{মনু) “সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
 কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোবরঃ”॥৩।১২॥

 কামত অসবর্ণাৰিবাহে প্রবৃত্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যজাতির
 বিবাহকার্য্যে প্রথমতঃ সবর্ণা প্রশস্ত। এবং যথাক্রমে (অনুলোম)
 পাণিগ্রহণই প্রশংসনীয় (১)।
[১]

মনুবচনের এই ব্যাখ্যা কিরূপে প্রতিপন্ন বা সংলগ্ন হইতে পারে, বুঝিতে পারা যায় না। অন্ততঃ, যে সকল শব্দে এই বচন সঙ্কল্পিত


  1. (১) বহুবিবাহ বিচারসমালোচনা, ২ পৃষ্ঠা।