পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৬
বহুবিবাহ।

প্রবৃত্তদিগের,” এই স্থলে “কিন্তু” এই অর্থের বাচক যে “তু’ শব্দ আছে, সামশ্রমী মহাশয়ের ব্যাখ্যায় তাহা এক বারে পরিত্যক্ত হইয়াছে। সর্ব্বসম্মত চিরপ্রচলিত অর্থে ঐ “তু” শব্দের সম্পূর্ণ আবশ্যকতা, সুতরাং সম্পূর্ণ সার্থকতা আছে। সামশ্রমী মহাশয়ের ব্যাখ্যায় ঐ “তু” শব্দের অণুমাত্র আবশ্যকতা লক্ষিত হইতেছে না; এজন্য, উহা একবারে পরিত্যক্ত হইয়াছে; সুতরাং, উহার সম্পূর্ণ বৈয়র্থ্য ঘটিতেছে। আর, প্রবৃত্ত এই শব্দের “অসবর্ণবিবাহে প্রবৃত্ত” এই অর্থ লিখিত হইয়াছে। প্রকরণবশতঃ, প্রবৃত্ত শব্দের, “বিবাহপ্রবৃত্ত” এ অর্থ প্রতিপন্ন হইতে পারে; কিন্তু “অসবর্ণবিবাহে প্রবৃত্ত”, এই অসবর্ণাশদ বলপূর্ব্বক সন্নিবেশিত হইয়াছে। আর, “ইমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহবরা:” “এই সকল হুইবেক ক্রমশঃ অবরাঃ” এই অংশ দ্বারা “এবং যথাক্রমে অনুলোমপাণিগ্রহণই প্রশংসনীয়”, এ অর্থ কিরূপে প্রতিপন্ন করিলেন, তিনিই তাহা বলিতে পারেন। প্রথমতঃ, “এবং যথাক্রমে” এ স্থলে “এবং” “এই অর্থের বোধক কোনও শব্দ মূলে লক্ষিত হইতেছে না। মূলে তাদৃশ শব্দ নাই, এবং চিরপ্রচলিত অর্থেও তাদৃশ শব্দের আবশ্যকতা নাই। কিন্তু সামশ্রমী মহাশয়ের ব্যাখ্যার “এবংশদ” প্রবেশিত না হইলে পূর্ব্বাপর সংলগ্ন হয় না; এজন্য, মূলে না থাকিলেও, ব্যাখ্যাকালে কম্পনাবলে তাদৃশ শব্দের অপহরণ করিতে হইয়াছে। আর, “ক্রমশঃ” এই পদের “অনুলোমক্রমে” এই অর্থ প্রকরণবশতঃ লব্ধ হয়; এজন্য, এই অর্থই পূর্ব্বাপর প্রচলিত আছে। সচরাচর “ক্রমশঃ” এই পদের “যথাক্রমে” এই অর্থ হইয়া থাকে। সামশ্রমী মহাশয়, এস্থলে ঐ অর্থ অবলম্বন করিয়াছেন। কিন্তু যখন “ক্রমশঃ” এই পদের “যথাক্রমে” এই অর্থ অবলম্বিত হইল, তখন “অনুলোমপাণিগ্রহণই” এ স্থলে বচনস্থিত কোন শব্দ আশ্রয় করিয়া, অনুলোমশব্দ প্রযুক্ত হইয়াছে, তাহা দেখাইয়া দেওয়া আবশ্যক ছিল। যদিও “ক্রমশঃ” এই পদের