পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৮৭

স্থলবিশেষে “যথাক্রমে,” স্থলবিশেষে “অনুলোমক্রমে”, ইত্যাদি অর্থ প্রতিপন্ন হইয়া থাকে; কিন্তু এক স্থলে এক “ক্রমশঃ” এই পদ দ্বারা দুই অর্থ কোনও ক্রমে প্রতিপন্ন হইতে পারে না। আর, “অনুলোমপাণিগ্রহণই প্রশংসনীয়,” এ স্থলে “প্রশংসনীয়” এই অর্থ বচনের অন্তর্গত কোনও শব্দ দ্বারা প্রতিপন্ন হইতে পারে না। বোধ হইতেছে “ক্রমশো হবরাঃ” এই স্থলে “অবরাঃ” এই পাঠ বচনের প্রকৃত পাঠ, তাহা তিনি অবগত নহেন; এজন্য, “অবরাঃ” এই স্থলে “বরাঃ” এই পাঠ স্থির করিয়া, ভ্রান্তিকূপে পতিত হইয়া, “প্রশংসনীয়” এই অর্থ লিখিয়াছেন। মনুবচনের প্রকৃত পাঠ ও প্রকৃত অর্থ কি, তাহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণের প্রথম পরিচ্ছেদে সবিস্তর আলোচিত হইয়াছে, সামশ্রমী মহাশয়, কিঞ্চিং শ্রমস্বীকারপূর্ব্বক, ঐ স্থলে[১] দৃষ্টিযোজনা করিলে, সবিশেষ অবগত হইতে পরিবেন। এক্ষণে, মনুবচনের দ্বিবিধ অর্থ উপস্থিত; প্রথম চিরপ্রচলিত, দ্বিতীয় সামশ্রমিকল্পিত। যেরূপ দর্শিত হইল, তদনুসারে চিরপ্রচলিত অর্থে বচনস্থিত প্রত্যেক পদের সম্পূর্ণ সার্থকতা থাকিতেছে; সামশ্রমিকল্পিত অর্থে বচনে অধিকপদতা, ন্যূনপদতা, কষ্টকল্পনা প্রভৃতি উৎকট দোষ ঘটিতেছে। এমন স্থলে, কোন অর্থ প্রকৃত অর্থ বলিয়া অবলম্বিত হওয়া উচিত, তাহা সকলে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন। ফল কথা এই, তাঁহার অবলম্বিত অর্থ বচনের অন্তর্গত পদসমূহ দ্বারা প্রতিপন্ন হওয়া কোনও মতে সম্ভব নহে।

 এক্ষণে, ঐ অর্থ সংলগ্ন হইতে পারে কি না, তাহা আলোচিত হইতেছে। তিনি লিখিয়াছেন, “কামত অসবর্ণাবিবাহে প্রবৃত্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যজাতির বিবাহকার্য্যে প্রথমতঃ সবর্ণা প্রশস্ত”। গৃহস্থ ব্যক্তিকে গৃহস্থাশ্রম সম্পাদনার্থে প্রথমে সবর্ণাবিবাহ করিতে হয়, ইহা সর্ব্বশাস্ত্রসন্মত ও সর্ব্ববাদিসম্মত। তবে সবর্ণা কন্যার

  1. এই পুস্তকের ৯ হইতে ২৫ পৃষ্ঠা পর্য্যন্ত