পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০
বহুবিবাহ।

পারে; স্ত্রীলোক, পতি বিদ্যমান থাকিলে, আর বিবাহ করিতে পারে না। নতুবা, যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের শাস্ত্রীয় প্রতিপন্ন হওয়া সম্ভব নহে। কিন্তু সামশ্রমী মহাশয় লিখিয়াছেন,

 "এ স্থলে যে দৃষ্টান্তে জায়াদ্বয় লাভ করিতে পারা যায়, ঐ
 দৃষ্টান্ত সমর্থ হইলে শত শত জায়াও লাভ করা যায়। সুতরাং ঐ
 দ্বিত্ব সংখ্যা বন্ধুত্বের উপলক্ষণমাত্র” (১৩)।

[১]

এই মীমাংসাবাক্যের অর্থগ্রহ সহজ ব্যাপার নহে। যাহা হউক, বেদ দ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ডের সমর্থন হওয়া সম্ভব কি না, তাহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণে সবিস্তর আলোচিত হইয়াছে (১৪);[২] এ স্থলে আর তাহার আলোচনা করা নিষ্প্রয়োজন। উল্লিখিত বেদবাক্য, অবলম্বনপূর্ব্বক, যে ব্যবস্থা স্থিরীকৃত হইয়াছে, তৎসমর্থনার্থ, সামশ্রমী মহাশয় মহাভারতের কতিপয় শ্লোক উদ্ধত করিয়াছেন। তাঁহার লিখন এই;—

 “এই স্থলে মহাভারতের আদিপর্ব্বান্তর্গত বৈবাহিক পর্ব্বের
 কতিপয় শ্লোক উদ্ধৃত করিতেছি এতদ্দৃষ্টে বহুবিবাহপ্রথা কত দূর
 সুপ্রচলিত ও শাস্ত্রসম্মত কি শাস্ত্রবিরুদ্ধ? তাহা স্পষ্টই প্রতিপন্ন
 হইবে।

 যুধিষ্ঠির উবাচ।

 “সর্ব্বেষাং মহিষী রাজন্! দ্রৌপদী নো ভবিষ্যতি।
 “এবং প্রব্যাহৃতং পূর্ব্বং মম মাত্রা বিশাম্পতে!॥১৬।৯। ২২
 “অহঞ্চাপ্যনিবিষ্টো বৈ ভীমসেনশ্চ পাণ্ডবঃ (১৫)।

[৩]

  1. (১৩) বহুবিবাহবিচারসমালোচনা, ১৬ পৃষ্ঠা।}}
  2. (১৪) এই পুস্তকের ১০০ পৃষ্ঠা হইতে ১০৮ পৃষ্ঠা পর্য্যন্ত দেখ।}}
  3. (১৫) “অহঞ্চাপ্যনিবিষ্টো বৈ ভীমসেনশ্চ পাণ্ডবঃ”। {{smaller|সামশ্রমীমাহাশয় এই শ্লোকার্দ্ধের নিম্নলিখিত অর্থ লিখিয়াছেন। “আমিও ইহাতে নিবিষ্ট নহি, পাণ্ডুপুত্র ভীমসেনও নিবিষ্ট নহেন"।