পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
বহুবিবাহ।

দুই মুনিকন্যার বহুপতিবিবাহরূপ প্রাচীন আচার কীর্ত্তন করিয়া, স্ত্রীলোকের বহুপতিবিবাহ অবৈধ, এই বৈদিক নির্দ্দেশের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ ব্যবহার প্রতিপন্ন করিতেছেন। অতএব, সামশ্রমী মহাশয়কে অগত্যা স্বীকার করিতে হইতেছে, তাঁহার উল্লিখিত আখ্যানের এ অংশ তাঁহার অবলম্বিত “শ্রুতিটির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ” নহে; সুতরাং “এই আখ্যানটি পূর্ব্বোল্লিখিত শ্রুতিটির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ,” তদীয় এই নির্দ্দেশ সঙ্গত ও সর্বাঙ্গসুন্দর বলিয়া পরিগৃহীত হইতে পারে না। বস্তুতঃ, “এই আখ্যানটি” এরূপ না বলিয়া “এই আখ্যানের অন্তর্গত ষড়্‌বিংশ শ্লোকটি পূর্ব্বোল্লিখিত শ্রুতিটির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ”, এরূপ নির্দেশ করাই সর্ব্বতোভাবে উচিত ও আবশ্যক ছিল। এ স্থলে ইহাও উল্লেখ করা আবশ্যক, প্রকারান্তরে বিবেচনা করিয়া দেখিলেও, সামশ্রমী মহাশয়ের এই নির্দেশ সম্যক্ সঙ্গত হইতে পারে না। তিনি, অখ্যানের যে শ্লোক অবলম্বন করিয়া, ঐরূপ নির্দ্দেশ করিয়াছেন, উহা তাঁহার অবলম্বিত “শ্রুতিটির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ” নহে। ঐ শ্লোক, এবং ঐ শ্লোক যে শ্রুতির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ, উভয় প্রদর্শিত হইতেছে;

একুস্য বহ্ব্যো জায়া ভবন্তি নৈকস্যৈ বহবঃ সহ পতয়ঃ[১]

 এক ব্যক্তির বহু ভার্য্যা হইতে পারে, এক স্ত্রীর এক সঙ্গে বহু পতি হইতে পারে না।

একস্য বহ্ব্যো বিহিতা মহিষ্যঃ কুরুনন্দন।
নৈকস্যা বহবঃ পুংসঃ শ্রূয়ন্তে পতয়ঃ ক্কচিৎ

 হে কুরুনন্দন! এক পুরুষের বহু ভার্য্যা বিহিত; এক স্ত্রীর বহু পতি কোথাও শুনতে পাওয় যায় না।

এই শ্লোকটি এই শ্রুতিটির সাক্ষাৎ উদাহরণস্বরূপ বলিয়া নির্দ্দেশ


  1. এই শ্রুতি এই পুস্তকের ১০০ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত ও আলোচিত হইয়াছে।