পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、88 * বহুবিবাহ । ব্রাহ্মণের অগ্রে বিবাছ ক্ষত্ৰিয়। অথবা বৈশ্ব হইতে পারে পরে সবর্ণ বিবাছ হুইতে পারে। তাছা হইলে মিশ্রবণ বহুভাৰ্য্য। হয় কিন্তু ক্ষজিয়া জ্যেষ্ঠ। তবে কি ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ার সহিত ধৰ্ম্মচরণ করবে। এবং ক্ষভিয়ের অগ্রস্ত্রী বৈশ্ব পরে ক্ষত্রিয়া তাছার জ্যেষ্ঠ। বৈশ্যর সহিত পক ধৰ্ম্মীচরণ করবে। তাছাতেই কহিয়াছেন মিশ্রণস্থ কনিষ্ঠয়াপি সবর্ণয়া— । সবর্ণ কনিষ্ঠ স্ত্রীর সহিতেই ধৰ্ম্মীচরণ করিবে” (৪৮) । কবিরত্ন মহাশয়ের উল্লিখিত বিষ্ণুবচন যে অভিপ্রায়ে উদ্ধৃত ও ব্যাখাত হইয়াছিল, তৎপ্রদর্শনার্থ প্রথম পুস্তকের কিয়দংশ উদ্ধৃত হইতেছে — “ কোনও কোনও মুনিবচনে এক ব্যক্তির বহু স্ত্রী বিদ্যমান থাকা নির্দিষ্ট আছে, তদর্শনে কেছ কেছ কহিয়া থাকেন, যখন শাস্ত্রে এক ব্যক্তির যুগপৎ বহু স্ত্রী বিদ্যমান থাকার স্পষ্ট উল্লেখ দৃষ্টিগোচর হইতেছে, তখন যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহ শাস্ত্রকারদিগের,অনুমোদিত কাৰ্য্য নহে, ইহা কিরূপে পরিগৃহীত হইতে পারে। র্তাহীদের অভিপ্রেত শাস্ত্র সকল এই,— ১ । সবর্ণামু বহুভাৰ্য্যাসু বিদ্যমানামু জ্যেষ্ঠয়া সহ ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যং কারয়েৎ | সজাতীয় বহু ভাৰ্য্যা বিদ্যমান থাকিলে, জ্যেষ্ঠার সহিত ধৰ্ম্মকার্য্যের অনুষ্ঠান করিৰেক’ (৪৯) । এইরূপে বহুভাৰ্য্যাপরিগ্রহের প্রমাণভূত কতিপয় বচন প্রদর্শন করিয়া লিখিয়াছিলাম, “এই সকল বচনে এরূপ কিছুই নির্দিষ্ট নাই যে ভদ্বার। , শাস্ত্রোক্ত নিমিত্ত ব্যতিরেকে পুৰুষের ইচ্ছাধীন বহু বিবাস্থ প্রতিপন্ন হইতে পারে। প্রথম বচনে (কবিরত্ন মহাশয়ের উল্লিখিত (৪৮) বহুবিবাহরাহিত্যারাহিত্যনির্ণয়, ২০ পৃষ্ঠ । (৪৯) বহুবিবাহবিচার, প্রথম পুস্তক, ১• পৃষ্ঠা।