পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
বহুবিবাহ।

পারে; ইহাই এই বচনের অর্থ ও তাৎপর্য্য। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য কোন অবস্থায় যথাক্রমে চারি, তিন, দুই বর্ণে বিবাহ করিতে পারে, তাহা পূর্ব্ব বচনে ব্যবস্থাপিত হইয়াছে; অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ধর্ম্মকার্য্য সম্পাদনের নিমিত্ত, প্রথমে সবর্ণা অর্থাৎ ব্রাহ্মণকন্যা বিবাহ করিবেক; পরে রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে, অসবর্ণা অর্থাৎ ক্ষত্রিয়াদি কন্যা বিবাহ করিতে পারিবেক। ক্ষত্রিয়, ধর্ম্মকার্য্য সম্পাদনের নিমিত্ত, প্রথমে সবর্ণা অর্থাৎ ক্ষত্রিয়কন্যা বিবাহ করিবেক; পরে রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে, অসবর্ণা অর্থাৎ বৈশ্যাদি কন্যা বিবাহ করিতে পারিবেক। বৈশ্য, ধর্ম্মকার্য্য- সম্পাদনের নিমিত্ত, প্রথমে সবর্ণা অর্থাৎ বৈশ্যকন্যা বিবাহ করিবেক; পরে রতিকামনায় পুনরায় বিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে, অসবর্ণা অর্থাৎ শূদ্রকন্যা বিবাহ করিতে পারিবেক। অতএব, ধর্ম্মার্থে সবর্ণাবিবাহ ও কামার্থে অসবর্ণাবিবাহ শাস্ত্রকারদিগের অভিপ্রেত, তাহার কোনও সংশয় নাই।

 এই সিদ্ধান্ত প্রাচীন ও চিরপ্রচলিত সিদ্ধান্ত, কিংবা আমার কপোলকম্পিত অথবা লোকবিমোহনার্থে বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব সিদ্ধান্ত, এতদ্বিষয়ক সংশয়নিরসনবাসনায়, পূর্ব্বতন গ্রন্থকর্ত্তাদিগের মীমাংসা উদ্ধৃত হইতেছে;—

 মাধবাচার্য্য কহিয়াছেন,

 “লক্ষণ্যাং স্ত্রিয়মুদ্বহেদিত্যুক্তং তত্রোদহনীয়া কন্যা দ্বিবিধা সবর্ণা চাসবর্ণা চ তয়োরাদ্যা প্রশস্তা তদাহ মনুঃ

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহবরাঃ॥

 অগ্রে স্নাতকস্য প্রথমবিবাহে দারকর্ম্মণি অগ্নিহোত্রাদৌ ধর্ম্মে সবর্ণা বরেণ সমানো বর্ণে। ব্রাক্ষণাদির্যস্যাঃ স যা ব্রাহ্মণস্য ব্রাহ্মণী ক্ষত্রিয়স্য ক্ষত্রিয়া বৈশ্যস্য বৈশ্যা প্রশস্তা ধর্ম্মার্থমাদৌ