পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বহুবিবাহ।

 দ্বিজাতিদিগের সবর্ণাপাণিগ্রহণের পর অনুলোমক্রমে ক্ষত্রিয়াদিকন্যা পরিণয় বিহিত হইয়াছে; তন্মধ্যে সবর্ণাবিবাহ মুখ্যকল্প, অসবর্ণাবিবাহ অনুকল্প।

এইরূপে, সবর্ণাপরিণয় বিবাহের মুখ্যকল্প, অসবর্ণাপরিণয় বিবাহের অনুকল্প, এই ব্যবস্থা করিয়া, অনুকল্পের স্থল দেখাইতেছেন,

  “অথ দারআনুকম্পঃ তত্র মনুঃ

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহবরাঃ॥

 অবরাঃ জঘন্যাঃ[১]

 অতঃপর বিবাহের অনুকল্পপক্ষ কথিত হইতেছে। সে বিষয়ে মনু কহিয়াছেন, দ্বিজাতিদিগের ধর্ম্মার্থ বিবাহে সবর্ণা বিহিতা; কিন্তু যহারা কামতঃ অর্থাৎ কামবশতঃ বিবাহ করিতে প্রবৃত্ত হয়, বক্ষ্যমাণ অবরারা অনুলোমক্রমে তাহাদের ভার্য্যা হইবেক। অবরা অর্থাৎ হীনবর্ণা ক্ষত্রিয়াদিকন্যা।

 এক্ষণে সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন, ধর্ম্মার্থে সবর্ণাবিবাহ ও কামার্থে অসবর্ণাবিবাহ শাস্ত্রকারদিগের অভিপ্রেত, মাধবাচার্য্য, মিত্রমিশ্র ও বিশ্বেশ্বরভট্ট এই সিদ্ধান্ত করিয়াছেন কি না। অধুনা বোধ করি, সর্ব্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কবাচস্পতি মহাশয়ও অঙ্গীকার করিতে পারেন, এই সিদ্ধান্ত প্রাচীন ও চির প্রচলিত সিদ্ধান্তু, আমার কপোলকল্পিত অথবা লোকবিমোহনার্থ বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব সিদ্ধান্ত নহে।

 ধর্ম্মার্থে সবর্ণাবিবাহ আর কামার্থে অসবর্ণবিবাহ যে সর্ব্বতোভাবে শাস্ত্রকারদিগের অভিপ্রেত, শাস্ত্রান্তরেও তাহার সম্পূর্ণ ও নিঃসন্দিগ্ধ প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। যথা,

  1. মদনপারিজাত।