পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৩৭

পঞ্চনখ ভক্ষণ নিষিদ্ধ হইতেছে; উহাদের ভক্ষণে অধিকার রহিতেছে না। সুতরাং, “পঞ্চ পঞ্চনখা ভক্ষ্যাঃ” এই বিধিদ্বারা শশ প্রভৃতি পঞ্চ মাত্র পঞ্চনখ ভক্ষণীয় বলিয়া ব্যবস্থাপিত হইতেছে, তদ্ব্যতিরিক্ত যাবতীয় পঞ্চনখ অভক্ষ্যপক্ষে নিক্ষিপ্ত হইতেছে। শশ প্রভৃতি পঞ্চ পঞ্চনখ ভক্ষণ দোষাবহ নহে; কারণ, লোকের ইচ্ছাবশতঃ তাহাদের ভক্ষণের যে প্রাপ্তি ছিল, শাস্ত্রের বিধি দ্বারা তাহা নিবারিত হইতেছে না; শশ প্রভৃতি পঞ্চ ব্যতিরিক্ত পঞ্চনখ ভক্ষণ দোষাবহ হইতেছে; কারণ, যাবতীয় পঞ্চনখভক্ষণ ইচ্ছাবশতঃ প্রাপ্ত হইলেও, শশ প্রভৃতি পাঁচটি ধরিয়া বিধি দেওয়াতে, তদ্ব্যতিরিক্ত সমস্ত পঞ্চনখের ভক্ষণ একবারে নিষিদ্ধ হইয়াছে। সেইরূপ, কামার্থ বিবাহস্থলে, লোকের ইচ্ছাবশতঃ সবর্ণা ও অসবর্ণা উভয়েরই প্রাপ্তি ঘটিয়াছিল; কিন্তু, যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত পুরুষ অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, এই বিধি দেওয়াতে, অসবর্ণা ব্যতিরিক্ত স্থলে নিষেধ সিদ্ধ হইতেছে; অসবর্ণা বিবাহ পূর্ব্ববৎ ইচ্ছাপ্রাপ্ত থাকিতেছে, অর্থাৎ ইচ্ছা হইলে অসবর্ণা বিবাহ করিতে পারিবেক; কারণ, পূর্ব্বেও ইচ্ছাদ্বারা অসবর্ণার প্রাপ্তি ছিল, এবং বিধি দ্বারাও অসবর্ণার প্রাপ্তি নিবারিত হইতেছে না। পরিসংখ্যাবিধির এইরূপ তাৎপর্য্যব্যাখ্যাই সচরাচর পরিগৃহীত হইয়া থাকে। কিন্তু তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের তাৎপর্য্যব্যাখ্যা অনুসারে, শশ প্রভৃতি পঞ্চ পঞ্চনখ ভক্ষণ ও অসবর্ণা বিবাহ, উভয়ই অবিহিত; সুতরাং উভয়ই দোষাবহ; শশ প্রভৃতি পঞ্চ পঞ্চনখ ভক্ষণ করিলে প্রত্যবায়গ্রস্ত হইতে হইবেক; এবং অসবর্ণা বিবাহ করিলে, তদ্গর্ভজাত সন্তান অবৈধ সন্তান বলিয়া পরিগণিত হইবেক। তিনি এস্থলে পরিসংখ্যাবিধির এরূপ তাৎপর্য্যব্যাখ্যা করিয়াছেন; কিন্তু পূর্ব্বে সর্ব্বসম্মত তাৎপর্য্যব্যাখ্যা অবলম্বন করিয়া আসিয়াছেন। তথায় স্বীকার করিয়াছেন, পরিসংখ্যাবিধি দ্বারা বিহিত বিষয়ের অতিরিক্ত স্থলে নিষেধ সিদ্ধ হয়,