পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৪১

বচনের একমাত্র উদ্দেশ্য; সুতরাং, অপূর্ব্ববিধি কল্পনা করিয়া, সবর্ণা ও অসবর্ণা উভয়বিধস্ত্রীবিবাহ সিদ্ধ করিবার পথ রুদ্ধ হইয়া আছে। অতএব, অপূর্ব্ববিধি স্বীকার করিলেও, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের কোনও উপকার দর্শিতেছে না; এবং, যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত পুৰুষ অসবর্ণাবিবাহ করিতে পারে, আমার অবলম্বিত এই মীমাং- সারও কোনও অংশে হানি ঘটিতেছে না। আর যদি এই বিবাহ- বিধিকে নিয়মবিধি বলা যায়, তাহাতেও আমার পক্ষে কোনও হানি, এবং তর্কচম্পতি মহাশয়ের পক্ষে কোনও ইষ্টাপত্তি, দুষ্ট হইতেছে না। নিয়মবিধি অঙ্গীকৃত হইলে, ইহাই প্রতিপন্ন হইবেক, যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত পুরুষ সবর্ণা ও অসবর্ণা উভয়বিধ স্ত্রীর পাণিগ্রহণ করিতে পারিত; কিন্তু যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহপ্রবৃত্ত পুরুষ অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, এই বিধি প্রদর্শিত হওয়াতে, যদৃচ্ছাস্থলে অসবর্ণাা- বিবাহ নিয়মবদ্ধ হইল; অর্থাৎ, যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে, অসবর্ণা কন্যারই পাণিগ্রহণ করিবেক; সুতরাং, যদৃচ্ছাস্থলে, সবর্ণা ও অসবর্ণা উভয়বিধস্ত্রীবিবাহের আর পথ থাকিতেছে না। অতএব, পরিসংখ্যা স্বীকার না করিলেও, যদৃচ্ছাস্থলে অসবর্ণাবিবাহ করিতে পারে, এ ব্যবস্থার কোনও অংশে ব্যাঘাত ঘটিতেছে না। সর্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কচম্পতি মহাশয়, কিঞ্চিৎ বুদ্ধিব্যয় ও কিয়দ্ অভিনিবেশ সহকারে, ক্ষণকাল আলোচনা করিয়া দেখিলে, অন্যথা বুঝিতে পারিবেন, এ বিষয়ে আমার পক্ষে অপূর্ব্ববিধি, নিয়মবিধি পরিসংখ্যাবিধি, এ তিন বিধিই সমান; তবে, পরিসংখ্যার প্রকৃত স্থল বলিয়াই পরিসংখ্যাপক্ষ অবলম্বিত হইয়াছিল; নতুবা, কামার্থে অসবর্ণাবিবাহ শাস্ত্রানুমোদিত, ইহা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত, এই বিবাহবিধির পরিসংখ্যাত্বস্বীকারের ঐকান্তিকী আবশ্যকতা নাই।