পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ক্ষিতীশ

 দেবী, আমরা জোগাই রসাত্মক বাক্য, তা নিয়ে তর্ক ওঠে, আপনারা দেন রসাত্মক বস্তু; ওটা অন্তরে গ্রহণ করতে মতান্তর ঘটে না।

অর্চনা

 কী চমৎকার! আমি যখন থালায় কেক সন্দেশ গোছাচ্ছিলুম আপনি ততক্ষণ কথাটা বানিয়ে নিচ্ছিলেন। সাতজন্ম উপোয় করে থাকলেও আমার মুখ দিয়ে এমন ঝক্‌ঝকে কথাটা বেরোত না। তা যাক গে, পরিচয় নেই, তবু এলুম কাছে, কিছু মনে করবেন না। পরিচয় দেবার মতো নেই বিশেষ কিছু। বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জে যাবার ভ্রমণবৃত্তান্তও কোনো মাসিকপত্রে আজ পর্যন্ত ছাপাই নি। আমার নাম অর্চনা সেন। ঐ যে অপরিচিত ছোটো মেয়েটি বেণী দুলিয়ে বেড়াচ্ছে আমি তারই অখ্যাত কাকী।

ক্ষিতীশ

 এবার তা হলে আমার পরিচয়টা-

অর্চনা

 বলেন কী! পাড়াগেঁয়ে ঠাওরালেন আমাকে? শেয়ালদা স্টেশনে কি গাইড্‌ রাখতে হয় চেঁচিয়ে জানাতে যে কলকাতা শহরটা রাজধানী! এই পরশুদিন পড়েছি আপনার ‘বেমানান’ গল্পটা। পড়ে হেসে মরি আর কি।

২৪