পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 সুন্দর ও অন্য সকলে বেরিয়ে এল ঘর থেকে।

পুরন্দর

 (সোমশংকর ও সুষমাকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে) তোমাদের মিলনের শেষ কথাটা ঘরের দেয়ালের মধ্যে নয় বাইরে, বড়ো রাস্তার সামনে। সুষমা, বৎসে, যে সম্বন্ধ মুক্তির দিকে নিয়ে চলে তাকেই শ্রদ্ধা করি। যা বেঁধে রাখে পশুর মতো প্রকৃতির গড়া প্রবৃত্তির বন্ধনে বা মানুষের গড় দাসত্বের শৃঙ্খলে ধিক্‌ তাকে। পুরুষ কর্ম করে, স্ত্রী শক্তি দেয়। মুক্তির রথ কর্ম, মুক্তির বাহন শক্তি। সুষমা, ধনে তোমার লোভ নেই তাই ধনে তোমার অধিকার। তুমি সন্ন্যাসীর শিষ্যা, তাই রাজার গৃহিণীপদে তোমার পূর্ণতা। (ডান হাতে সোমশংকরের ডান হাত ধ’রে)

তস্মাৎ ত্বমুত্তিষ্ঠ যশোলভস্ব
জিত্বা শত্রূন্‌ ভুঙ্‌ক্ষ রাজ্যং সমৃদ্ধম্‌।

 ওঠো তুমি, যশোলাভ করে। শত্রুদের জয় করো- যে রাজ্য অসীম সমৃদ্ধিবান তাকে ভোগ করো। বৎস আমার সঙ্গে আবৃত্তি করে প্রণামের মন্ত্র।

নমঃ পুরস্তাদ্‌ অথ পৃষ্ঠতন্তে
নমোস্তুতে সর্বত এব সর্ব।
অনন্তবীর্যামিবিক্রমস্‌ত্বং
সর্বং সমাপ্নোষি ততোহসি সর্বঃ।

৫৪