১৬
দারােগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
সু। না না-যৌতুকের কথা স্বতন্ত্র আছে।
আ। ঠিক জান?
সু। না, সে কথা বলিতে পারি না। তবে ইহা স্থির জানি যে, বিবাহের পর আমি প্রায় পনের ষোল হাজার টাকা পাইব। তবে যদি মরিয়া যাই, ফুরাইয়া যাইবে। এই বলিয়া সুধা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিল। আমি তাহার কথায় দুঃখিত হইলাম। বলিলাম, “যখন আমি এ কাজে লাগিয়াছি, তখন তোমার কোন ভয় নাই। আর অমন কথা মুখে আনিও না। আর একটা কথা আছে, কোন উপায়ে আমাকে সেই ঘর দুইটী দেখাইতে পার?
সু। কোন্ ঘর? দিদির ও আমার ঘরের কথা বলিতেছেন?
আ। হাঁ।
সু। সে কি করিয়া হইতে পারে? আপনি অন্দরে যাইবেন কিরূপে? অন্দরে না যাইলে ত দিদির ঘর দেখিতে পাইবেন না। বিশেষতঃ, আমার খুড়মহাশয় বড় ভয়ানক লোক। লোকে তাহাকে পাগল বলিয়া থাকে। এবং সেই জন্য সকলেই তাহাকে অত্যন্ত ভয় করিয়া থাকে।
আ। আমি কৌশলে তোমাদের বাড়ীতে যাইব মনে করিয়াছি। যদি সফল হই, তাহা হইলে আমায় দেখাইতে পারিবে?
সু। কেন পারিব না? কিন্তু আপনি কেমন করিয়া সেখানে যাইবেন?
আ। তোমার বিবাহ উপলক্ষে তোমার খুড়ামহাশকে নিশ্চয়ই কতকগুলি নুতন চাকর রাখিতে হইবে।