লেন, “তোমার মত অনেক দেখিয়াছি। এ বয়সে আর আমার দেখিতে কিছু বাকি নাই। যাও এখনকাজ দেখ গে। কিন্তু সাবধান! আমি যে সে লোক নই। গ্রামের সকলে আমায় বাঘের মত ভয় করে। আমার সহিত কোন রকম চাতুরী করিলে মারা যাইবে।”
এই বলিয়া জমীদার মহাশয় ভিতরে গেলেন, আমিও বাহিরে আসিয়া ভোলাকে সকল কথা বলিম। ভোলা বলিল, “বাবু কি আর কখনও আপনাকে দেখিয়া ছিলেন?”
আমি বলিলাম, 'কই, আমার ত মনে পড়ে না। কিন্তু তিনি যে রকম ভাবে কথা বলিলেন, তাহাতে বোধ হয়, তিনি আমায় পূর্ব্বে কোথাও দেখিয়া থাকিবেন।”
ভোলা বলিল, “আপনি সে সন্দেহ করিবেন না।
বাবু। সকলকেই ঐ কথা বলিয়া থাকেন। তাহার কথাই ঐরূপ কর্কশ।”
ভোলার কথায় আমি সন্তুষ্ট হইলাম। পরে জিজ্ঞাসা করিলাম, “সুধা আসিয়াছে?”
ভো। হাঁ, আসিয়াছে।
আ। একবার আমাকে তাহার সহিত দেখা করিয়া দিতে পারি?
ভো। এখন নহে। বাবুর আজ শরীর বড় ভাল নয়। তিনি এখনই বিশ্রাম করিতে যাইবেন।