২৬
দারােগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
আ। উপরের নলটী ঘরের মেঝের নিকট পর্যন্ত নামিল না কেন? অতটা যায়গা ফাঁক রাখিবার প্রয়োজন কি?
সু। সে কথা আমি বলিতে পারিলাম না।
আ। এখন যেখানে পালঙ্কখানি রহিয়াছে, ঐ স্থানেই কি উহা পূর্ব্বেও ছিল?
সু। হুঁ। আ। তুমিও পূর্বে এই ঘরে বাস করিতে, বলিয়াছ না? তোমরা কি উভয়ে একই শয্যায় শয়ন করিতে?
সু। না—আমারও এখানে এই রকম একখানি পালঙ্ক ছিল। আমি তাহাতেই শয়ন করিতাম।
আ। এখন সেখানি কোথায়?
সু। আমার শোবার ঘরে।
আ। তোমার দিদির বিছানার নিকটেই ঐ নলটা ছিল বোধ হইতেছে, কেমন?
সু। হাঁ আপনি ঠিক বলিয়াছেন। আমি আরও খানিকক্ষণ নলটা পরীক্ষা করিলাম। পরে সুধাকে বলিলাম, “এইবার তোমার শোবার ঘরে লইয়া চল।”
সুধা ঘরের দরজা খুলিয়া একবার চারিদিক লক্ষ্য করিল এবং কাহাকেও দেখিতে না পাইয়া আমায় সঙ্গে লইয়া তাহার শয়নগৃহে প্রবেশ করিল। আমি ভাবিয়াছিলাম, সুধার দাসী সেই ঘরে থাকিবে কিন্তু গৃহের ভিতর যাইয়া কাহাকেও দেখিতে পাইলাম না। তখন সুধাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আজ তোমার দাসী কোথায় গেল? শুনিয়াছিলাম, সে তোমারই ঘরে নিদ্রা যায়।”