বাঁশী ।
২৭
সু। হাঁ, সে এইখানেই শোয়, কিন্তু আজ তাহার কি প্রয়োজন আছে ঠিক জানি না। সে সন্ধ্যার পর এ বাড়ী হইতে চলিয়া গিয়াছে।
অ। তবে কি সে তোমাদের চাকরি ছাড়িয়া দিল?
সু। না না, সে তেমন নয়; কাকা তাহাকে অনেকবার দুর করিয়া দিয়াছিলেন, কিন্তু সে আমায় ছাড়িয়া আর কোথাও যাইতে চাহে না।
আ। তবে আজ সে কোথায় গেল?
সু। শুনিয়াছি, তাহার দেশ হইতে কোন আত্মীয় আসিঘাছে। বোধ হয়, সে তাহারই সহিত দেখা করিতে গিয়াছে।
আ। আজই ফিরিবে কি?
সু। না, কাল প্রাতে এখানে আসিবার কথা আছে।
অ। তবে ভালই হইয়াছে। এই বলিয়া আমি সেই ঘর ও ভাল করিয়া দেখিতে লাগিলাম। এ ঘরখানি পূর্বেকার ঘর অপেক্ষা ছোট। দৈর্ঘ্যে প্রায় দশ হাত, প্রস্থেও প্রায় আট হাত হইবে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এ ঘরেও পূর্বের মত একটা নল ছাদ ভেদ করিয়া মেঝে হইতে প্রায় দেড় হস্ত উপর পর্যন্ত আসিয়া শেষ হইয়াছে।
সে ঘরেও ঐ প্রকার নল দেখিয়া, আমার কেমন সন্দেহ হইল। আমি সুধাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এ বাড়ীর সকল বরেই কি এই রকম নল আছে?”
সু। না, কেবল এই দুইটা ঘরে
অ। তোমার ঘরের এই নলটা কতদিন আগে বসান হইয়াছে?