৪০
দারােগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
আ। তবে এক কাজ কর। দাসীকে লইয়া আজ তোমার দিদির ঘরে যাও। আমরা আজ এ ঘরে থাকিব।
সু। যদি কাকা জানিতে পারেন?
আ। তোমায় সে ভয় করিতে হইবে না। আমি পুলিসের লোক, তোমার কাকাকে বড় ভয় করি না।
সু। আপনি করিবেন কেন? আমাকে ত ভয় করিতে হইবে। আমার অন্যায় দেখিলে বাড়ী হইতে দুর করিয়া দিবেন।
আ। তিনি অন্য উপায়ে সেই চেষ্টাই করিতেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, কাল প্রাতে সমস্তই প্রকাশিত হইবে। তোমার দিদি যে কেবল ভয়েই মারা পড়িয়াছিল, তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হয়ত কাল প্রতেই পাঁচ জনে তাহা জানিতে পারিবে। এখন আমি যাহা বলি, কর। তোমার দাসীকে আমার কথা না বলিয়া, এখান হইতে তোমার দিদির ঘরে লইয়া যাও। আজিকার মত সেই ঘরেই শয়ন কর। কিন্তু দেখিও, যেন আজ আর কেহ এ বিষয় জানিতে না পারে। এখন বাড়ীর সকলেই বিশ্রাম করিতে গিয়াছে। সুতরাং আমার বিশ্বাস, এ কথা কেহই জানিতে পারিবে না। তবে তোমার দাসীকেও তুমি সাবধান করিয়া দিও
সুধা আর কোন কথা বলিল না। সে ঘরের ভিত যাইয়া দাসীকে ডাকিতে লাগিল। আমি ভোলাকে লইয়া আবার বাহিরে আসিলাম।
খানিক পরে ভোলা জিজ্ঞাসা করিল, “তবে আমি শুই গে?”
আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “সে কি! এরই মধ্যে বুঝি কাজ শেষ হয়ে গেল? এখনও বল, আজ আমার সঙ্গে রাত্রি জাগিতে পাবি কি না?”