পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঁশী।
৪১

 ভোলা অপ্রতিভ হইল। সেও লজ্জার হাসি হাসিয়া বলিল, “সকল কথা আমায় না বলিলে আমি কেমন করিয়া জানিতে পারিব? অর যে রাত্রি জাগরণের কথা বলিতেছেন, তাহা একটার কথা কি, আমি আপনার কাজে ক্রমান্বয়ে তিন চারি রাত্রি জাগিতে পারি।”

 আমি ভোলার কথার অর্থ বুঝিতে পারিলাম না। পুর্ব্বে সে আমার চাকর ছিল, আমাকে সে বড় ভালবাসিত। মনিব বলিয়া নয়, যেন আমি তাহার আত্মীয়। আমিও কখন তাহাকে একটী রূঢ় কথা বলি নাই। সে আমার নিকট চারি টাকা বেতন পাইত। কিন্তু ইহা ছাড়া আমার মক্কেলদিগের নিকট হইতে মধ্যে মধ্যে মাসে প্রায় দশ বার টাকা আদায় করিত।

 যে কারণেই হউক, ভোলা এখনও আমায় সেই রকম ভাল বাসে, তাহা বুঝিতে পারিলাম। বলিলাম, “তোকে তিন চার রাত্রি জাগতে হবে না। এক রাত্রি জাগলেই যথেষ্ট হবে, আর এই কাজের জন্য তুই পুরস্কারও পাবি?”

 ভোলা বলিল, “সে কথা পরে, এখন আমায় কি করিতে হইবে বলুন?

 আ। আমার সঙ্গে সুধার.ঘরে গিয়া সমস্ত রাত্রি জাগতে হবে।

 ভো। তবে চলুন।