পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
দারােগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।

লাগিলেন, কিন্তু প্রাণকৃষ্ণ বাবুর কোনরূপ উত্তর পাওয়া গেল। ক্রমে বাড়ীর ও প্রতিবেশীবর্গের অনেকেই আসিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন; তাহারাও প্রাণকৃষ্ণ বাবুকে বার বার ডাকিলেন কিন্তু কোনরূপই তাঁহার উত্তর পাওয়া গেল না। তখন অনন্যোপায় হইয়া সেই কর্মচারী ঐ কক্ষদ্বার ভাঙ্গিয়া উহার ভিতর প্রবেশ করিলেন। বলাবাহুল্য, আমিও সেই সঙ্গে ঐ কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিলাম। উহার ভিতর প্রবেশ করিয়া যাহা দেখিলাম, তাহাতে সকলেই একেবারে বিষ্মিত হইয়া পড়িলেন।

 যে সময় আমি আমার উর্দ্ধতন কর্ম্মচারীর সহিত সেইস্থানে আগমন করিয়াছিলাম, সেই সময় অমরেন্দ্র বাবুকেও সংবাদ প্রদান করিয়া আসিয়াছিলাম। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনিও আসিয়া সেইস্থানে উপস্থিত হইলেন; ও আমাকে সেইস্থানে দেখিতে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,——

 “মহাশয়! খবর কি?”

 আমি হাসিতে হাসিতে উত্তর করিলাম, “খবর, ভাল। আপনি যেরূপ সন্দেহ করিয়াছিলেন, ব্যাপার বাস্তবিকই সেইরূপ। গত রাত্রে প্রাণকৃষ্ণ বাবুর সমস্ত চাতুরী প্রকাশ পাইয়াছে।”

 অমরেন্দ্রনাথ আশ্চর্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সুধা যে শব্দ শুনিতে পাইয়াছিল, তাহা কি?”

 আ। ভয়ানক বিষাক্ত সাপের শব্দ। প্রাণকৃষ্ণ বাবু সর্প বশীকরণে বিশেষ পারদর্শী। তাঁহার সহিত অনেক সাপুড়েরও আলাপ আছে। তিনি ভ্রাতুষ্কন্যা, দুইটীকে কৌশলে হত্যা করিবার জন্য বাড়ীতে বিষাক্ত সর্প রাখিতেন।