৮
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
তাহার দাসীকে সেই সকল কথা অপর কাহাকেও বলিতে নিষেধ করিয়া, আমি তাহাদিগকে বিদায় দিলাম। পরদিবস প্রাতে আমার ভাবী বৈবাহিকের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, আমি আমার বাড়ীতে ফিরিয়া আসিলাম; কিন্তু বাঁশীর কথা আর কাহাকেও বলিলাম না।
অমরেন্দ্রনাথের কথা শুনিয়া আমার মনে হইল, ইহার মধ্যে কোন একটী গুরুতর রহস্য আছে। আমি তাহাকে কহিলাম, ‘আমার সর্ব্ব প্রধান কর্মচারীর আদেশ না পাইলে ত আমি ইহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারি না, সে বিষয়ে আপনি কোনরূপ বন্দোবস্ত করিয়াছেন কি?”
আমার কথা শুনিয়া অমরেন্দ্র বাবু কহিলেন, “হাঁ, সে বন্দোবস্ত আমি করিয়াছি, সে কথা আমি আপনাকে বলিতে ভুলিয়া গিয়াছি। আমি আপনার প্রধান কর্মচারীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, তাঁহাকে সমস্ত কথা বলি ও যাহাতে আপনার সাহায্যপ্রাপ্ত হই, তাঁহার নিমিত্ত উপরোধ করি। তিনিও আমার প্রস্তাবে সম্মত হইয়া, এই কার্য্যের ভার আপনার হস্তে প্রদান করিয়াছেন ও আপনাকে এক পত্রও লিখিয়া দিয়াছেন। তাহারই নিকট হইতে আমি আপনার নিকট আগমন করিতেছি।” এই বলিয়া অমরেন্দ্র বাবু এক্নখানি পত্র আমার হস্তে প্রদান করিলেন। দেখি! ইহা আমার প্রধান কর্মচারীর হস্তলিখিত ও যতদুর সম্ভব তিনি এই বিষয়ে সাহায্য করিতে আদেশ করিয়াছেন।
___________