পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 ୩ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড եւ Հoo եւ খাদিজা বেগম (দুলু) থানা- পিরোজপুর জেলা- বরিশাল পাক বাহিনী ব্যাপক অত্যাচার চালায় সারা শহরে। কালিবাড়ী রোডের দুইধার, মাছিমপুর, রানীপুর, পারের হাট, চিংড়াখালী ইত্যাদি এলাকা পাক বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে, ঘরবাড়ী লুট করে জুলিয়ে ধ্বংস করেছে। পাক বাহিনীর অসংখ্য মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। রাধারমন ঘোষ নামে এক ব্যাক্তি ও তার ছেলেকে পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পাক বাহিনীর লেকেরা তার মেয়েদের চায়। আষাঢ় মাসের এক অত্যাচার চালায়। তিন দিন পর শয্যাশায়ী অবস্থায় গাড়ী করে বাড়ী দিয়ে যায়। দৈহিক অত্যাচারের ফলে মৃত অবস্থায় ছিল, পরে বহু চিকিৎসা করে বাঁচে। সুন্দরী মেয়েকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায়। বাবা, ভাই অনেক আকুতি মিনতির পর পাক সেনারা অত্যাচার চালায়। শেষ রাতে দিয়ে যায় তার পরদিন আবার ধরে নিয়ে যায়। পরপর কয়েকদিন রেখে অমানুষিক দৈহিক অত্যাচার চালিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় তাদের বাড়ী দিয়ে যায়। পাকসেনারা বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়ে ধরে পিরোজপুর সেনানিবাসে নিয়ে যেতে এবং অকথ্য অত্যাচার চালাতো। ভাগিরথী নামে এক মেয়েকে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করার অপরাধে গাড়ীর পেছনে ১০/১২ হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে সারা শহর ভীষণ বেগে গাড়ী চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। মন্টু নামে এক ছেলেকে পাকসেনারা ভাণ্ডারিয়া থেকে ধরে এনে উপরে পা ঝুলিয়ে দিনের পর দিন বেত দিয়ে পিটিয়েছে। কোন খাবার দেয়নি। শরীর কেটে কেটে লবণ দিয়েছে। তিন রাত ঐ ভাবে ঝুলিয়ে পিটিয়েছে আর নানা খবর জিজ্ঞাসা করেছে। এত অত্যাচারের পরও কোনো কথা সে স্বীকার করেনি। তিন দিন স্বাক্ষর/খাদিজা বেগম (দুলু) ২০/৮/৭৩