পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খণ্ড
৪২১

করে নিয়ে আসতো। ইরিগেশন বিভাগের ওয়ার্কশপের পিছনে খান সেনারা বহু লোককে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে বীরগঞ্জ থানার পুলিশের সার্কল ইন্সপেক্টর জনাব ফজলুর রহমানকে, দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাদেরকে, পার্বতীপুর থানার থার্ড অফিসার আমিনুদ্দিনকে পঁচাগড়ের এস, আই আব্দুর রশিদকে, এস, আই মকবুল হোসেন, এবং আরো বহু পুলিশ কর্মচারীকে।

 পার্বতীপুর হলদী বাড়ী পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার তোজাম্মেল হোসেন বললেন, —পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর আসার পথে রেল সেতুর কাছে ১০ জন লোকের কংকাল পাওয়া গেছে। তার মধ্যে দুটি শিশুর। বীরগঞ্জ থানার ঘোড়াবান্দ গ্রামের জনৈক প্রাইমানী স্কুলশিক্ষক বললেন, নভেম্বর মাসে তার পুত্রবধূর এক আত্মীয়ার উপর খান সেনা ও তার সহযোগীরা জোর করে ঘরে ঢুকে পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তিনজন খান সেনা ছয়ঘাটি গ্রামের জনৈক চার সন্তানের জননীর ওপর তাদের পাশবিক ক্ষুধা চরিতার্থ করেছে।