পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\ყy8 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড আরেক শহীদ গণপরিষদ সদস্য দৈনিক বাংলা ১০ এপ্রিল, ১৯৭২ নজমুল হক সরকার আর এক শহীদ গণপরিষদ সদস্য নজমুল হক সরকার ৩৪ বছর বয়স্ক নজমুল হক সরকার ২৫শে মার্চের কালরাতে রাজশাহী শহরের এক গোপন স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঐ রাতেই দেড়টার দিকে হানাদার বাহিনী জনাব সরকারের রাজশাহী শহরের রাণীবাজারস্থ বাসভবন ঘেরাও করে। সেই সময় বাড়ীতে কয়েকজন দূরসম্পৰ্কীয় আত্মীয় ছাড়া কেউই ছিল না। নির্দেশ দেন। এবং নিজেও আত্মগোপন করেন। কিন্তু বিবেকের দারুণ দংশন সহ্য করতে না পেরে এবং কাগজপত্র সরানোর উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে তিনি হানাদার বাহিনীর একটি জীপের সম্মুখে পড়ে যান। সেখানেই জল্লাদের গুলিতে তিনি শহীদ হন। গুলি করার পর হানাদাররা তাঁর লাশ ট্রাকে করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। জনাব সরকার গত সাধারণ নির্বাচনে রাজশাহী ৮ (এনই-৩৭) থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ছয়জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং রাজশাহী জেলার মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে জাতীয় পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই জনাব সরকার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। ১৯৬২ সালের গণআন্দোলন থেকে শুরু করে তিনি সব সময়ই বাঙ্গালীর অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে গেছে। রাজশাহী কোর্টের এই তরুণ এ্যাডভোকেট অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি পরপর দু’বার রাজশাহী উকিল সমিতির সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। মিষ্টিভাষী, সুবক্তা, সাহসী, নজমুল হক আওয়ামী লীগের কর্মী মহলে নজমুল ভাই নামে পরিচিত ছিলেন।