পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খণ্ড
1
শিরোনাম সূত্র তারিখ
মুক্তি সেনাদের সাফল্য বর্ণনা করে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ আর্কাইভস মুজিবনগর জুন-আগষ্ট, ১৯৭১
নিউজ বুলেটিন (পাঁচ)
২২শে জুন ১৯৭১

বাংলাদেশ তথ্য ব্যুরো : পূর্বাঞ্চল

নোয়াখালী রণাঙ্গনে

২৯০ জন শত্রুসেনা খতম

 নোয়াখালী জেলার ফেনী মহকুমার অন্তর্গত ছাগলনাইয়া এলাকায় ফুলগাজী চানগাজীতৈ গত ১৭ই জুন থেকে ২০ শে জুন পর্যন্ত চারদিনব্যাপী বাংলাদেশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বহু পাক সৈন্য হতাহত হয়। পরবর্তী খবওর জানা গিয়েছে যে, এই রণাঙ্গনে হানাদার সৈন্যের মৃত্যুসংখ্যা ২৯০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিপূর্বে প্রাপ্ত প্রাথমিক খবরে এই মৃত্যুসংখ্যা ২০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভৈরবে ২০ জন হানাদার সৈন্য নিহত

 ময়মনসিংহ থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভৈরব পাক সৈন্য বাহিনীর উপর বাংলাদেশ বাহিনী এক দুঃসাহসিক আক্রমন চালায়। বাংলাদেশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বিশজন হানাদার সৈন্য নিহত হয়। বাংলাদেশ বাহিনীর গেরিলা দল ভৈরব ব্রিজে মাইন স্থাপন করে এবং এই মাইন বিস্ফোরণে ব্রিজটা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মিয়াবাজারে প্রচণ্ড সংঘর্ষ ঃ

৫০ জন হানাদার সৈন্য নিহত

 কুমিল্লা জেলার মিয়াবাজারে বাংলাদেশ বাহিনী হানাদার পাক সৈন্যদের ক্যাম্পের উপর আক্রমণ চালান। বাংলাদেশ বাহিনী এই আক্রমণে বোমা, মেশিনগান রকেট নিক্ষেপ করেন। গত ১৯শে জুন উভয় পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন পাক সৈন্য নিহত হয় এবং ১৮ জন আহত হয়। হানাদার বাহিনী এই যুদ্ধে কামান ও মর্টার ব্যবহার করে।

রেল সেতু উড়িয়ে দেয়া হয়েছে

 কুমিল্লা জেলার লালমাইয়ে বাংলাদেশ বাহিনী গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের একটি পাইলন উড়িয়ে দিয়েছেন। গত ১৯শে জুন গেরিলা দল ডিনামাইট দিয়ে নিকটবর্তী রেল সেতুটা উড়িয়ে দিয়েছেন।

 কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ বাহিনীর গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধিতে হানাদার বাহিনীর মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়। কুমিল্লা জেলার মন্দবাগ এলাকায় হানাদার বাহিনীকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে গেরিলা দল ৯ জন পাক সৈন্যকে হত্যা করে। গত ১৯শে জুন রাজাপুরে বাংলাদেশ বহিনীর সাথে এক খণ্ডযুদ্ধে ১৪ জন পাক সৈন্য নিহত হয়। গত ১৮ই জুন এবং ১৯শে জুন নয়নপুরে গেরিলাদের আক্রমণে ১০ জন হানাদার সৈন্য নিহত হয়।