পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৮২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ৩১৪ মেহদী মাসুদের ওপর বিধিনিষেধ কালান্তর ৬ জুন, ১৯৭১ আরোপঃ ভারত সরকারের কড়া ব্যবস্থা মেহদী মাসুদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ নয়াদিল্লী, ৫ জুন (ইউএনআই) - কলকাতার পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশনার মেহদী মাসুদ ও হাইকমিশনের অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মচারীর গতিবিধির ওপর ভারত সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য, ১ মে থেকে ঢাকার ভারতীয় কূটনৈতিক কর্মচারীদের ওপর পাকিস্তান সরকার অনরূপ বিধিনিষেধ চাপিয়েছিলেন। ভারতীয় সরকারী সূত্র থেকে বলা হয়েছে, ভিয়েনা সনদে প্রতিষ্ঠিত কূটনৈতিক সম্পর্কের রীতিনীতি ও সেনগুপ্তকে অস্তরীণ করে এক অভূতপূর্ব নজির সৃষ্টি করেছেন। পাকিস্তান সরকার এই অবাঞ্ছিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিলে ভারত সরকারও কলকাতায় অবস্থানকারী পাকিস্তানী কূটনৈতিক কর্মীদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। পাকিস্তান সরকার ঢাকার ভারতীয় কূটনৈতিক কর্মীদের বিনা অনুমতিতে নিজেদের মধ্যে বা বাইরের কারোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে দেয়নি। শুধুমাত্র একটি ব্যবিতক্রমঃ শ্ৰী সেনগুপ্ত দিনে এক বা দু’বার ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারেন । ঢাকার প্রত্যেক ভারতীয় কূটনৈতিক কর্মীর বাসভবনের বাইরে সশস্ত্র মিলিটারী প্রহরা মোতায়েন আছে। বিধিনিষেধ জারি হবার পর দু'দেশের মধ্যে দূত বিনিময় করার জন্য কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্র প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার কোন পরামর্শতেই কান দেননি। ভারতীয় সরকারী মহল থেকে বলা হয়েছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কলকাতায় অবস্থানকারী পাক কুটনৈতিক কর্মীদের গমনাগমনের ওপর বিধিনিষেধ চাপাতে বাধ্য হল। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য লোকসভায় ও রাজ্যসভায় কমিউনিষ্ট সদস্যরা বলেছিলেন, যেখানে ঢাকায় ভারতীয় কূটনৈতিক কর্মীদের অসম্মান ও অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে অন্তরীণ থাকতে হয়েছে সেখানে কলকাতার পাক কুটনৈতিক কর্মীদের রাজার হালে কোন যুক্তি নেই।