পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৮৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

817 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ৩২৯ ভারত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশের কালান্তর ১৫ জুন, ১৯৭১ ভারত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সোভিয়েত বিমানের আগমন (স্টাফ রিপোর্টার) কলকাতা, ১৪ জুন- সোভিয়েত সরকার বাংলাদেশের শরণার্থীদের স্থানান্তর করার কাজে সাহায্যের জন্য ভারত সরকারের অনুরোধে আজ দুটি বৃহদাকার এ এন ১২ পরিবহন বিমান পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিমান দু’টি আজ বিকালে মস্কো থেকে দিল্লী হয়ে দমদম বিমান বন্দরে পৌছায়। মঙ্গলবার সকালে ঐ বিমান শরণার্থীদের নিয়ে নানা শিবিরে রওয়ানা হবে। স্মরণযোগ্য যে, পাক জঙ্গীচক্রের বর্বরতম ফৌজী আক্রমণের ফলে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ভারতের রাজ্যসমূহে চলে আসেন। সীমান্ত রাজ্যগুলি থেকে অত্যাধিক শরণার্থী চাপ সরাতে তাদের অধিকতর সুষ্ঠ আশ্রয় ব্যবস্থার জন্যে ভারতের অন্যত্র সরকারকে অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সোভিয়েত সরকার প্রথম দফায় এই ২টি বৃহৎ পরিবহন বিমান পাঠালেন। এ এন ১২ প্রথম বিমানটির বৈমানিক দলটিকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা করেন সোভিয়েত দূতস্থানের কূটনীতিবিদ এবং পশ্চিম বঙ্গ ও ভারত সরকারের উদ্ধাস্ত ত্রাণ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা। দিল্লী থেকে বিমানে তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণ বিভাগের অফিসার শ্রী ভিপি বাইদাকোভ কলকাতায় আসেন। বিমানবন্দরে স্বাগত জ্ঞাপনকারীদের মধ্যে ছিলেন কলকাতাস্থ সোভিয়েত কন্সাল শ্রী ভি দিউলিনসহ কন্সাল শ্রী ভি গুর্গেনভ, সোভিয়েত এয়ারোফ্লাতেঙ্ক ক্যাপ্টেন সেজকুলোভ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারী শ্রী এস সি রায় ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। সোভিয়েত ঔষধ ও অন্যান্য সাহায্য নিয়ে আরও বিমান দু’এক দিনের মধ্যে এসে পৌছবে বলে আশা করা হচ্ছে।