পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৯৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

928 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ৩৯০। পাক-ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধের আনন্দবাজার পত্রিকা ৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ খবর করাচী ও ঢাকায় বোমাবর্ষণঃ বাংলাদেশের ১১টি বিমান বন্দরে ভারতীয় বিমানের হানা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ভারতীয় নৌ-আক্রমণ ৪ঠা ডিসেম্বর- আজ রাত্রে একজন সরকারী মুখপাত্র বলেন যে, গত ১৮ ঘণ্টায় তিনটি মিরাজ এবং দুটি এফ-১০৪ ষ্টার ফাইটারসহ ৩৩টি পাকিস্তানী বিমান ভূপাতিত অথবা ধ্বংস করা হয়েছে। গত রাত্রে বিমান বাহিনী গতকাল মধ্য রাত্র থেকে আক্রমণ শুরু করেছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানী বিমান বাহিনী প্রায় খতম হয়েছে, আর দুই-তিনটি বিমা সম্ভবত অক্ষত আছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১১টি বিমান ধ্বংস হয়েছে-৬টি পশ্চিম পাকিস্তানে, ৫টি বাংলাদেশে। পূর্ব সীমান্তে ময়মনসিংহ জেলার কমলপুর ঘাঁটির পতন ঘটেছে। এই ঘাঁটির ৩১তম বালুচ বাহিনী ও ভেজাট রেঞ্জাররা ভারতীয় বাহিনীরা কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শনিবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দর শহরের ওপর ভারতীয় নৌবহন প্রচন্ড আক্রমণ চালায় এবং বাংলাদেশের পাক দখলীকৃত এলাকার বন্দরগুলোকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আজ অপরাহ্নে দ্বিতীয়বার চট্টগ্রাম পোতাশ্রয় আক্রমণ করে এবং প্রভূত ক্ষতিসাধন করে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ঢাকা-যশোর খন্ডে ১৭০ বার ঝাঁক বেঁধে গিয়ে আক্রমণ করে ১৪টি বিমান ভূপাতিত করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হেনেছে। পশ্চিম সীমান্তে ভারতীয় সৈন্য বাহিনী শত্রু এলাকার ৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খেরি ও নুনিসহ পাকিস্তানের ৯টি গ্রাম দখল করেছে। মেন্ধার খন্ডের বিপরীত দিকে একটি পাকিস্তানী ঘাঁটি দখল করেছে- এখানে বহু পাকিস্তানী সৈন্য হতাহত হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী ছাম্ব-জোরিয়ান খন্ডের বিপরীতে মাতোয়ালী শহরটি দখল করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী করাচী বন্দর ও নৌবন্দর সারগোধা, পোরকেট প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর ওপর বোমা ফেলে এসছে। এই সীমান্তে ১৯টি পাক বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ৮০ জন পাক সৈন্য ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। হুসেনীওয়ালাতে ১২টি পাকিস্তানী ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। হুদিয়ারা নালায় এক কন্টিনজেন্ট পাক সৈন্য অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ঢাকা চট্টগ্রাম করাচি-শত্রর ঘাঁটিতে ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ বাংলাদেশে চতুর্দিক থেকে জওয়ানেরা আগুয়ান বরুণ সেন গুপ্ত যুদ্ধের প্রথম দিনই ভারতীয় সেনা, নীে এবং বিমানবাহিনী বাংলাদেশের দখলদার পাক বাহিনীর ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালিয়েছে। চতুর্দিক থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এগোচ্ছে। চূড়ান্ত লক্ষ্য ঢাকা দখল এবং পাক বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। প্রথম দিনের প্রাথমিক ধাক্কাতেই বিভিন্ন সেকটরে পাক বাহিনী বিপর্যন্ত,