পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খণ্ড
134

নিয়ে এবং ৪র্থ বেঙ্গলের পুরোনো ও অভিজ্ঞ সৈনিকদের নিয়ে আরো কয়েকটি ব্যটালিয়ন গঠন করার ইচ্ছা ছিল। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি সাবসেক্টর কমাণ্ডারদের নিয়ে হেডকোয়ার্টার মেলাঘরে একটি কনফারেন্স করি। সে কনফারেন্স নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়ঃ-

 (ক) ৪র্থ বেঙ্গল থেকে পুরোনো ও অভিজ্ঞ সৈনিক নিয়ে আরো দু'টি ব্যাটালিয়ন করা হবে।

 (খ) ৪র্থ বেঙ্গলের ‘সি' কোম্পানী ও হেডকোয়ার্টারের কিছু সৈনিক ৪র্থ বেঙ্গলেই থাকবে এবং তাদেরকে নিয়ে ৪র্থ বেঙ্গলকে পুনর্গঠন করা হবে। এই ব্যাটালিয়নটি পরিচালনার জন্য ক্যাপ্টেন গাফ্ফারকে নিযুক্ত করা হল। এই ব্যাটালিয়নটি পুনর্গঠন এবং পুনর্বিন্যাসের জন্য কোনাবন বেইস এ একত্রিত করা হবে।

 (গ) ৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানী এবং ‘বি’ কোম্পানীর কিছু সৈন্য নিয়ে নতুন করে ৯ম বেঙ্গল রেজিমেণ্ট গঠন করা হবে। মেজর আইনউদ্দিনকে এই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হল। এই ব্যাটালিয়ানটিকে কসবা বেইসু-এ পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করা হবে।

 (ঘ) ৪র্থ বেঙ্গলের এ কোম্পানী এবং বি কোম্পানীর অবশিষ্ট সৈনিকদের নিয়ে ১০ম বেঙ্গল রেজিমেণ্ট গঠন করা হবে। মেজর সালেককে এই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হল। মেজর সালেক এবং ৪র্থ বেঙ্গলের এ কোম্পানী শালদা নদীতে যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় তাঁকে তাঁর সৈন্যসহ বেলুনিয়াতে যাবার নির্দেশ দেয়া হল। ১০ম বেঙ্গল রেজমিণ্টকে বেলুনিয়া-রাজনগর বেইসু-এ পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করা হবে।

 (ঙ) ২নং সেক্টর অধিনস্ত সব যোদ্ধাদের তিন ভাগে বিভক্ত করা হবে। নবগঠিত ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম রেজিমেণ্ট কে নিয়ে কে ফোর্স নামে ব্রিগেড গঠন করা হলো।

 (চ) নবগঠিত কে ব্রিগেডির আলাদা হেডকোয়ার্টার স্থাপন করে সেখানে স্টাফ অফিসার হিসেবে মেজর মতিন এবং ক্যাপ্টেন আনোয়ারুল আলমকে নিযুক্ত করা হল।

 (ছ) গেরিলা হেডকোয়ার্টার মেলঘরেই রাখা হবে। মেজর হায়দার আমার অধীনে গেরিলা স্টাফ অফিসার নিযুক্ত হল।

 (জ) ১৮টি সেক্টর কোম্পানী কোম্পানী হিসেবেই থাকবে এবং তারা কে ফোর্স হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ মেনে চলবে।তাদেরকে সাধারণত কমাণ্ডো হিসেবে শত্রুপক্ষের পশ্চাৎভাগে (গভীরাভ্যন্তরে) ধ্বংসাক্তক তৎপরতা চালাবার কাজে নিয়োগ করা হবে।

 (ঝ) গেরিলারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাকসেনাদের নির্মূল করে নিজ নিজ এলাকা শত্রুমুক্ত করবে। পাকসেনাদের ছোট ছোট দলে বিচ্ছিন্ন করে তাদের শক্ত ঘাঁটিগুলিকে অনুরোধ করে আত্ন সমর্পণ করাতে বাধ্য করবে।

 (ঞ) কে ফোর্স ব্রিগেডকে পাকসেনাদের শক্তিশালী ঘাঁটিগুলিকে দখল করার কাজে নিয়োগ করা হবে এবং উদ্ধারকৃত মুক্ত এলাকার প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে।

 (ট) অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখের মধ্যেই কে ফোর্স পুনর্গঠনের কাজ শেষ করা হবে।

 (ঠ) 'কে ফোর্স পুনর্গঠনকালে পাকসেনারা যাতে তাদের হৃত মনোবল পুরুদ্ধার না করতে পারে এবং প্রাধান্য বিস্তার সক্ষম না হয় সেজন্য কোম্পানীগুলো এবং কমাঙ্গে প্লাটুনগুলো গেরিলাদের