পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

448 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ ১৯। ১১নং সেক্টরে সংঘটিত বাংলা একাডেমীর দলিলপত্র | ........... Ֆի, ԳՏ যুদ্ধের বিবরণ সাক্ষাৎকারঃ লেঃকর্নেল(অবঃ) আবু তাহের めのーどー>b" (? জুলাই মাসের ২৫ তারিখে বাংলাদেশের পথে ভারতে রওনা হই। আমার সঙ্গে মেজর জিয়াউদ্দিন, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারী, মেজর মঞ্জুর ও তার স্ত্রী-ছেলেমেয়ে এবং ব্যাটম্যান রওনা হন। পথে নানা বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আমরা ২৭শে জুলাই দিল্লী এবং আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে মুজিবনগর পৌছাই। আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম, এম,জি, ওসমানী মেঘালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সরেজমিন যুদ্ধের অবস্থা অবলোকনের জন্য পাঠালেন। পাকিস্তান থেকে আমরা যাঁরা পালিয়ে এলাম তাঁদের মধ্যে মেজর জিয়াউদ্দিনকে ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট, মেজর মঞ্জুরকে ৮নং সেক্টরের, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারীকে ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানী এবং আমাকে ১১নং সেক্টরের পরিচালনা ভার দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে আমি আগষ্টের ১২তারিখে মেঘালয় এসে পৌছাই। এই এলাকার মুক্তিবাহিনীর ছেলেরা ভারতীয় বাহিনীর কমান্ডে ইতিপূর্বেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলো। কামালপুর ছিল পাকিস্তানী সেনাদের মস্ত ঘাঁটিসিদ্ধান্ত নিলাম কামালপুর আক্রমনের। ১৫ই আগষ্ট আমি নিজে মাত্র ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সন্ধ্যার দিকে কামালপুর পাক ঘাঁটি আক্রমণ করি। আমাদের অস্ত্র বলতে ছিল এল-এম-জি, রাইফেল এবং কিছু ষ্টেনগান। আমাদের আক্রমণ দু’ঘন্টা স্থায়ী হয়।আমাদের আক্রমণে ১৫/১৬ জন পাকিস্তানী নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা আহত হলো ১৫ জন। আমার আক্রমণের পূর্বে এই এলাকা কোন সেক্টরের আওতায় ছিল না। আমি সেনাবাহিনীর সদর দফতরে এই এলাকাকে একটি সেক্টরে পরিণত করার আবেদন করলে আবেদন মঞ্জর হয়। আমার সেক্টরের নাম হলো ১১নং সেক্টর। কমাণ্ড আমাকেই দেয়া হলো। ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে আমার সেক্টর গঠিত হয়। সেক্টরের দায়িত্ব নেবার পর সমগ্র এলাকাকে কয়েকটি সাবসেক্টরে বিভক্ত করি। সাবসেক্টরগুলো হলোঃ (১) মানকার চর (২) মহেন্দ্রগঞ্জ (৩) পুরাকাশিয়া (৪) ডালু (৫) বাগমারা (৬) শিববাড়ি (৭) রংড়া এবং (৮) মহেশখালী। সমগ্র এলাকাতে অফিসারের তীব্র অভাব অনুভব করলাম। সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে দু’জন অফিসার দেয়া হলো- (১) স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ এবং (২) লেঃ মান্নান। এই সময় মেজর জিয়াউর রহমান তাঁর ব্রিগেড নিয়ে সিলেট এলাকাতে চলে যান। অফিসার দু’জনকে আমি দু’টি সাব-সেক্টরের দায়িত্ব দিলাম। মানকার চর সাব-সেক্টরের দায়িত্ব দায়িত্ব দিলাম স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহকে এবং মহেশগঞ্জ সাবসেক্টরের দায়িত্ব দিলাম লেঃ মান্নানকে।

  • পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিসেস-এ মেজর পদে কর্মরত থাকাকালে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।