পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

61 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : দশম খন্ড (গ) অন্যান্য (১) একটি ট্রেন বিস্ফোরক দিয়ে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া (২) তিনটি কাঠের চালি ....... দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় (৩) কাঠ ব্যবসায় ও চালনায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। ৬ নভেম্বর মাসঃ (ক) রাজাকার-পাঞ্জাবী অপারেশন (১) টাউনে গ্রেনেড চার্জ করে তিনজন রাজাকার হত্যা (২) পারুয়ায় গ্রেনেড চার্জ করে তিনজন মিজো ও একজন পাঞ্জাবী (৩) মগদাইরে গ্রেনেড চার্জ করে একজন রাজাকার (৪) ফজলপুরে গ্রেনেড চার্জ করে তিনজন রাজাকার (৫) ধলঘাটে ট্রেন আক্রমণ করে ...... জন মুজাহিদ (৬) ধলঘাটে এম্বুশ- ৯ জন পাঞ্জাবী ও তিনজন মিলিশিয়া। (খ) দালাল অপারেশন (১) রাউজান ১ জন (২) রাউজান ৪ জন (গ) অন্যান্য (১) ট্রেন ইঞ্জিন লাইনচ্যুত করে দেওয়া হয় (২) ২টি পুল নষ্ট করে দেওয়া হয় (৩) ৪৪০০০ ভোল্টের ছোট ইলেকট্রিক লাইনটি নষ্ট করে দেওয়া হয় (৪) ১টি কাঠের চালি ডুবিয়ে দেওয়া হয় (৫) ১৩২০০০ ভোল্টের মেইন সাপ্লই লাইনটিও নষ্ট করে দেওয়া হয়-মিল কারখানা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় (১৩ দিনের জন্য)। ৭ ডিসেম্বর মাসঃ এই অপারেশনে সাহায্য করেন কমান্ডার অশোক কুমার চাকমা। এই মাসে মাত্র একটি অপারেশন করা হয়। উক্ত দল বন্যায় একটি পাঞ্জাবী আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন পাঞ্জাবী, বাদবাকি মিজো ও রাজাকারসহ মোট ২৭ জন শত্রসৈন্য নিহত করেন। পহেলা ডিসেম্বর তারিখে এই অপারেশন করে রাউজান আসার পথে ২রা ডিসেম্বর তারিখে করিম সাহেবকে চিরিঙ্গা নামক স্থানে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে যতদিনে করিম সাহেব মুক্তি না পান ততদিনে সকল প্রকার অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই হিসাবে অনেকদিন আর কোন অপারেশন করা হয়নি। গ্রেফতারকারী নুরুল আলম ও তার উধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মুক্তি সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হবার পর ১১ই ডিসেম্বর তারিখে আর একটি অপারেশন মগদাইরের রাজাকার-মিলিশিয়া ক্যাম্পটি দখল করা হয়। এর পরেও আরো তিনজন রাজাকার ও ই-পি-আর এর পুলিশকে ধরা হয়।