আমি ২৭শে নভেম্বর নিজের সেক্টরে ফেরত আসি। বর্তমানে নিজের মর্টার প্লাটুনের দায়িত্ব গ্রহণ করি। মুন্সিরহাটের দক্ষিণে পাঠাননগরে অবস্থান করি। আমরা চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হতে থাকি। ৩১ নম্বর জাঠ রেজিমেণ্ট করেরহাট থেকে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
আমরা জোরারগঞ্জ, মিরশ্বরাই, সীতাকুণ্ড, বারবকল্ড, কুমিরা, ছোট কুমিরাতে ১৪ই ডিসেম্বর সাতে ১২ ঘণ্টা অবস্থান করি। ১৫ তারিখ ভোর ৩ টা থেকে অগ্রগতি শুরু হয়। সকল ৭টার সময় কুমিরা পৌছি। এখানে পাকিস্তানীদের সাথে তুমুল যুদ্ধ হয়। ৫৬টা আর্টিলারী গান-এর সাহায্যে আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত থাকে। বেলা ৮টার সময় কুমিরা টি বি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছলে পাকবাহিনী আত্মরক্ষা ফায়ার আরম্ভ করে, যার ফলে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর অনেকে হতাহত হয়।
১৫ই ডিসেম্ভর বারটার সময় পাক বাহিনী আমাদের ওপর পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। রেকি গ্রুপ ধরা পড়ে। জাঠ রেজিমেণ্টের মর্টারের ফায়ার। শেষবারের মত জোয়ানরা ইচ্ছামত ফায়ার করে জয়যুক্ত হন। পাক বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ক্ষতিসাধন হয়। মেজর এ্যাডজুট্যাণ্ট ৩১ জাঠ রেজিমেণ্ট সংবাদ পাঠালেন- মুক্তিবাহিনীকে মোবারকবাদ জানালেন।
১৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে চট্টগ্রামম, কুমির, সীতাকুণ্ডে। চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী উল্লাসে ফেটে পড়ে।