পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

392 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড অনুপূরক কাজঃ (১) সামন্তবাদ ও ঔপনিবেশবাদ বিরোধী সংগ্রামে কৃষকদেরকে গেরিলা উজ্জীবিত করা; (২) প্রধানতঃ চাষীদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী করা গেরিলা যুদ্ধ করা; (৩) কৃষি বিপ্লব করা; (৪) নিয়মিত বাহিনী ও ঘাঁটি এলাকা তৈরী করা। আন্তর্জাতিক বক্তব্য বর্তমান বিশ্বের মূল দ্বন্দ্বগুলো নিম্নরূপঃ (1) মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ ও সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সাথে সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের দ্বন্দ্ব; (2) একদিকে সাম্রাজ্যবাদীদের নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব সংশোধনবাদীদের নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব; অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী ও সংশোধনবাদের মাঝে দ্বন্দ্ব। (3) সাম্রাজ্যবাদী ও সংশোধনবাদী দেশসমূহের শাসকশ্রেণীর সাথে নিজেদের দেশের জনগণের झुन्छ्। (4) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ ও সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সাথে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিপীড়িত জনগণের দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্ব বিশ্লেষণ (1) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ ও সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সংশোধনাবাদের সাথে সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের দ্বন্দ্বঃ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ বিশ্বব্যাপী তাদের শাসন ও শোষণ অব্যাহত রাখার পথে এবং বিশ্বকে নিজেদের শোষণের ক্ষেত্র হিসাবে পুনর্বন্টনের পথে সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহকে বিশেষতঃ সমাজতান্ত্রিক চীনকে প্রধান বাধা বলে মনে করা হয়। কারণ, চীন সর্বহারা আন্তর্জাতিকতাবাদের ভিত্তিতে সর্বদা সাম্রাজ্যবাদী ও সংশোধনবাদী শোষণের স্বরূপ তুলে ধরেছে। এ শাসন ও শোষণের হাত থেকে মুক্তির একমাত্র পথ বিপ্লবের পতাকাকে চীন উর্ধ্বে তুলে ধরছে। চীনের বিপ্লবী সর্বহারা শ্রেণী বিপ্লবের দেশ ও জাতিসমূহের শাসন ও শোষণ বিরোধী সংগ্রামকে নৈতিক সমর্থন দিচ্ছে ও বাস্তব সাহায্য করছে। চীন বিশ্বের শাসন ও শোষণ বিরোধী সংগ্রামকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজেই সাম্রাজ্যবাদ ও সংশোধনবাদ এ প্রতিবন্ধককে ধবংস করতে সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের অবস্থা বিপ্লবের পক্ষে, জনগণের পক্ষে, সমাজতন্ত্রের পক্ষে এবং সামারজ্যবাদ, সংশোধনবাদ ও সকল প্রতিক্রিয়ার বিপক্ষে। বিশ্বের শক্তির ভারসাম্য সমাজতন্ত্রের পক্ষে। কাজেই সাম্রাজ্যবাদীরা ও ংশোধনবাদীরা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দ্বন্দ্বের অবসান করাতে অক্ষম। সভাপতি মাও বলেছেন, “ আজকের দিনে দু’ধরনের বাতাস-প্রবাহিত-পূবালী বাতাস ও পশ্চিমী বাতাস। চীনে একটি প্রবাদ আছে, “হয় পূবালী বাতাস পশ্চিমী বাতাসকে দাবিয়ে রাখে, না হয় পশ্চিমী বাতাস পূবালী বাতাসকে দাবিয়ে রাখে।” আমাদের মতে বর্তমান পরিস্থিতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পূবালী বাতাস পশ্চিমী বাতাসকে দাবিয়ে রাখছে। এর অর্থ এই যে, সমাজতান্ত্রিক শক্তি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ওপর অত্যধিক প্রাধান্য লাভ করছে। এ কারণে সাম্রাজ্যবাদীরা ও সংশোধনবাদীরা বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ, ব্লাকমেইল এবং আভ্যন্তরীণ দালালদের প্রভৃতির মাধ্যমে