পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

647 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ স্বাধীন পূর্ববাংলা প্রতিষ্ঠার আহবানে বিপ্লবী ছাত্র বিপ্লবী ছাত্র | ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭১ একাত্তরে একুশের ডাক সশস্ত্র কৃষি বিপ্লবের পতাকা উর্ধ্বে তুলিয়া ধরুন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা কায়েম করুন বাংলা ভাষার উপর আক্রমণঃ o পূর্ব বাংলার বাঙালী জাতির জাতিসত্তা বিকাশকে রুদ্ধ করিবার জন্য পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা মুৎসুদ্ধি পুঁজির শোষণমূলক শাসন ব্যবস্থার জাতীয় নিপীড়ন নীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। ভাষা আন্দোলনঃ - শোষক শ্রেণীর এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার জনগণের প্রথম সচেতন ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। – বায়ান্ন-এর একুশ সেই প্রতিবাদের সক্রিয় ও সংগ্রামী রূপান্তর। এই দিনে জনতার সচেতন অংশ হিসাবে পুর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ শোষকশ্রেণীর দালালদের আত্মসমৰ্পন ও আপোষকামী নীতির বেড়াজাল ছিন্ন করিয়া তুলিয়া ধরে সংগ্রামের পতাকা। নিজেদের নিয়োজিত করে শাসকগোষ্ঠী পরিচালিত সকল নির্যাতনের প্রত্যক্ষ মোকাবিলায়। হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করিয়া সৃষ্টি করে জনগণের স্বার্থে আত্মবলিদানের মহান ঐতিহ্য। বায়ান্ন-এর একুশ পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী দিন কিন্তু একাত্তরে আজওঃ o আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদী নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ-আমলামুৎসুদি পুঁজির স্বৈরাচারী এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার পূর্ব বাংলার উপর নিষ্ঠুর জাতিগত নিপীড়ন অব্যাহত। o রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে “কাগুজে” “লোকভোলানো” অধিকারের শ্রুতিমধুর প্রতিশ্রুতির সোচ্চার ঘোষণা করা হইলেও বাস্তবে উহা “একজাতিতত্ত্ব” “রাষ্ট্রীয় সংহতি ও অখন্ডতার” বস্তাপচা বুলির বেড়াজালে আবদ্ধ। o বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পরিপূর্ণ মর্যাদা পায় নাই। প্রতিমুহুর্তে তাহা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আক্রমণের সম্মুখীন। o ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে ১৫ লাখ বাঙালী নির্মম মৃত্যুবরণ করিয়াও পাইয়াছে নিষ্ঠুর উপেক্ষা ও অবমাননা।