পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

723 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড তিনি বলেন, বৃটিশ জাতি বুদ্ধিমান ছিল। তাই তারা এদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন হওয়ার মত পর্যায়ে পোঁছার আগেই স্বাধীনতা দিয়ে যায়। তেমনিভাবে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বাংলার ৭ কোটি মানুষকেও তিনি অবিলম্বে স্বাধীনতা প্রদানের দাবী জানান। তিনি এ ব্যাপারে ইয়াহিয়াকে জনাব দেওলতানা, জনাব ভুট্টো ও জনাব খুরোসহ বিভিন্ন পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। অহিংস আন্দোলন প্রসঙ্গে মওলানা ভাসানী বলেন, আমি কোনদিন অহিংসায় বিশ্বাস করি না। রসুল (দঃ) অহিংসায় বিশ্বাস করতে বলেননি। জুলুমের প্রতিশোধ নিতে বলেছেন। জালিমের অত্যাচার যে সহ্য করে এবং যে অত্যাচার করে তারা উভয়ই মহাপাপী। তিনি বলেন, অহিংসা পন্থা অবাস্তব। দেশে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তিনি প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেন। পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের যুক্তি একজন নিরক্ষর নাগরিকের নিকটও গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নামে প্রেসিডেন্টের ভূমিকার নিন্দা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রতি কোন মর্যাদা না দিয়ে তার আইনগত কাঠামোর কথা জোর গলায় প্রচার করছেন। তিনি আইনগত কাঠামো আদেশেরবলে সবকিছু করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? গণতন্ত্রে এরূপ আদেশের কোন নজির কোন দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি এলএফও'র কঠোর নিন্দা করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের গণতন্ত্র শুধুই মুখের কথা। কোন দেশে পার্লামেন্টকে কেউ বাধা দেয় না। এটা গণতন্ত্রের নিয়ম বহির্ভূত। জনাব ভুট্টোর পরিষদ বর্জনের হুমকি প্রসঙ্গে ন্যাপ প্রধান বলেন, এটাও নজিরবিহীন ঘটনা। আজাদীপূর্বকালে ভারতীয় পার্লামেন্টে মুসলমানরা সংখ্যাগলঘিষ্ঠ হওয়া সত্বেও পার্লামেন্টে যোগ দেব না এরূপ কথা বলেনি। আইন পাসের ব্যাপারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সংখ্যালঘিষ্ঠ দল পরিষদে বাধা দান করেছে, যুক্তিতর্ক, ন্যায়বিচার ও ইনসাফের দোহাই দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে বোঝাবার চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত ওয়াকউট করেছে। ভুট্টোর উচিত ছিল সেই গণতন্ত্রসম্মত পথ অনুসরণ করা। পশ্চিম পাকিস্তানী গরীব জনগণের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যদি কোন আইন পাস করত বা তাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবার চেষ্ঠা করত এবং একথা যদি ভুট্টোর দল প্রমাণ করতে পারত, তাহলে জনমত তার দলের পক্ষে যেত। হয়েছে। কিন্তু এই হত্যার প্রতিশোধ ইন্দোনেশিয়ার জনগণ নেবেই। নিরস্ত্র অসহায় মানুষকে গুলি করে হত্যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাবোনদের আজ গুলি করে মারা হচ্ছে। গত পরশু আমি চলে গিয়েছিলাম। এক মহিলা কেঁদে লুটিয়ে পড়লেন। তাঁর ছেলে রাজশাহীতে পড়ত, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই মহিলা চিৎকার করে কাঁদছে। বাংলা মা’র কোল এমনি করেই খালি করে বাংলাকে ক্রন্দসী বাংলা করছে। তিনি বলেন, সন্তানের জন্য মায়ের যে বদনা তা ইয়াহিয়া বুঝবেন না। সন্তানহারা মায়ের অভিশাপ বিফলে যাবে না। বিভিন্ন দ্রব্যাদির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তিনি গ্রামে গ্রামে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহবান জানান। তিনি বলেন, সিমেন্টের দাম ནྱཱ ཡཱཝ ཡཱཝ ཡཱཝ ཨཀཏྭཱ ཨེཝ། ཡཉྩ ཨཱསཝཱ ཨེཝ ཙ ཨཝལིཡཾ ཨཱཝ ཨཡཾ ཨཝཙ། ཨེཝ། ཨཐ ཝཱ ཀ ཅན དུ མ |