পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

744 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড ১৯নং নির্দেশ উন্নয়ন ও নির্মান কার্য বৈদেশিক সাহয্যে তৈরী রাস্তা ও পুল প্রকল্পগুলোসহ সকল প্রকার সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে। সরকারী এজেন্সী ও সংশ্লিষ্ট স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা থেকে ঠিকাদারদের পাওনা যথারীতি মিটিয়ে দেয়া হবে। উক্ত সংস্থাগুলো থেকে যদি মালমসলা সরবরাহের চুক্তি থাকে তাহলে সেই চুক্তি মোতাবেক যথারীতি সরবরাহ করা হবে। ০নং নির্দেশ সাহায্য ও পুনর্বাসন ঘূর্ণিদুর্গত এলাকার বাঁধ তৈরী ও উন্নয়নমূলক কাজসহ সকল প্রকার সাহায্য, পুনর্বাসন ও পূনঃনির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে। সরকারী এজেন্সী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো ঠিকাদারদের পাওনা মিটিয়ে দিবে। ২১নং নির্দেশ ইপিআইডিসি ও ইপসিকের সকল কারখানায় কাজ চলবে এবং যতদূর সম্ভব উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এই সকল কারখানা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের ব্যাপারে ইপিআইডিসি ও চালিয়ে যেতে হবে। ২২নং নির্দেশ বেতন দান সরকারী ও আধা-সরকারী সংস্থার কর্মচারী ও প্রাইমারী শিক্ষকদের বেতন- যাদের রোজ, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক কিংবা মাসিক হিসাবে দেয়া হয়ে থাকবে, তাদের সেইভাবে দিতে হবে। যাদের বন্যা সাহায্য মঞ্জুর করা হয়েছে এবং বাকী বেতন দেয়ার কথা তা দিয়ে দিতে হবে। বেতন বিল তৈরীর জন্য সরকারী, আধাসরকারী বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো খোলা রাখতে হবে। ৩নং নির্দেশ পেনশন সামরিক বিভাগের অবসারপ্রাপ্ত কর্মচারীসহ সকল অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনসন নির্দিষ্ট তারিখে পরিশোধ করতে হবে। ৪নং নির্দেশ এ, জি (ইপি) ও ট্রেজারী এই নির্দেশে যে সকল সংস্থাকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য হুকুম দেয়া হয়েছে তাদের টাকা-পয়সা দেয়া- নেয়া ও সরকারী কর্মচারীদের বিল তৈরীর জন্য সামান্য সংখ্যক কৰ্মচারী দ্বারা এজি (ইপি) অফিসের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।