পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : নবম খণ্ড
৪৩৬

fight today. the Mukti Fouj has began their attack on the Pakitani Army at Hairpur about 10 miles from the border.

 The situation of the Libaration war in the Sylhet sector of Bangladwesh remaind very fluid on Friday. The Pak army were in the Sylhet sector of Bangladesh remained very fluid on Friday. The Pak army were losing grounds and the Mukti Fouj went on winning but none of them could be sure about how of thge acquired territory they will be able to retain.

-Hindusthan standard, 29 May, 1971

মুক্তিফৌজের অতর্কিত আক্রমণে শত্রুসৈন্য অতিষ্ঠ

 আগরতলা, ২৯ শে মে (পিটিআই)- মুক্তিফৌজের গেরিলা ও কমাণ্ডোরা ও শ্রীহট্ট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী সেক্টরে পাকসেনাদের ঘাটিগুলির উপর প্রচণ্ড আঘাত হেনেছেন। আজ এখানে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় যে, শ্রীহট্টে মুক্তিফৌজের আচমকা আক্রমণে ৪০ জন পাকসেনা খতম হয়, তিনটি মোটরযান বিধ্বস্ত হয় এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র গোলাবারুদ মুক্তিফৌজের হস্তগত হয়। প্রকাশ, দু’জন পাক অফিসার ও ৭০ জন পাকসৈন্য মারা গেছে।

 মুক্তিফৌজের গেরিলারা গত ২৫ শে মে রাত্রিতে কুমিল্লা সেক্টরে সৈদামানিতে পাকসৈন্যদের ওপর আক্রমণ চালান এবং ২৫ জন পাকিস্তানীকে খতম করেন। এই আক্রমণে ১৪ জন পাকিস্তানী আহত হয় ও একটি পাকিস্তানী জীপ ও একটি ট্রাকবিধ্বস্ত হয় এবং ধর্মনগরে দুটি বিনষ্ট হয়।

 নোয়াখালী জেলার ফেনী এলাকায় মুক্তিসেনারা পাকন্যৈদের তিনটি ঘাটির উপরও আক্রমণ চালায়। বহু পাকিস্তানী সৈন্য হতাহত হয়।

 মুক্তিফৌজের কমাণ্ডোরা যশোর এলাকার উথালিতে দুটি রেলসেতু এবং রংপুর সেক্টরে হিলি ও সান্তাহারের মধ্যে ১ টি রেলসেতু উড়িয়ে দেন। রংপুর জেলার তাজপুরে পাকিস্তানীদের সঙ্গে মুক্তিসেনাদের সংঘর্ষ হয়।

 মুজিবনগর থেকে ইউ-এন-আই জানাচ্ছে, মুক্তিফৌজের গেরিলা সৈন্যরা উত্তর ও পশ্চিম রণাঙ্গনে বিগত ৪ দিনে কয়েকটি সড়কপথ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কয়েকটি স্থানে পাকসৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

 কয়েকবার আচমকা আক্রমণে তাঁর অন্ততপক্ষে ৮১ জন পাকসৈন্যকে খতম করেন।

 মুক্তিসেনারা বিরল ও কাঞ্চনপাড়া স্টেশনের মধ্যে রেল-লাইন বিধ্বস্ত করে দেন। পশ্চিম রণাঙ্গনের তুলাই ও কিশোরীপুরের মধ্যেও তাঁরা রেলপথ অকেজো করে ফলেন। রংপুর সেক্টরে পাকসৈন্যবাহিনীর একখানি ট্রেন আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেনখানি স্বর্ণমতির দিক যাচ্ছিল। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়।

-যুগান্তর, ৩০ মে, ১৯৭১

‘আমরা ক্ষান্ত হব না’: গৌরকিশোর ঘোষ

 বুধবার হঠাৎ যখন তাদের সঙ্গে দেখা হল, তখন বেলা সাড়ে চারটা; গরমে গলগল করে ঘামছি; ওরা, মুক্তিফৌজের শ্রান্ত সৈনিকেরা খোলা জীপ নিজেদের ঘাটিতে ফিরে আসছেন, সারারাত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে নাজেহাল করে। আগের রাতে আমার পৌছতে দেরি হয়েছিল, তাই ওদের সঙ্গে নিতে পারিনি।

 দেখে আশ্চর্য লাগে, পাকিস্তান সরকারের এত সোচ্চার প্রচারের পরও বেনাপোলে পাকিস্তানের ঘাঁটির শীর্ষে এখনও বাংলাদেশের জয়বাংলা পতাকা পতপত করে উড়ছে।