পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : নবম খণ্ড
৫১

 ঘণ্টা দুয়েক এই লড়াই চলেছিল। উভয় পক্ষের গোলাগুলির শব্দ স্তব্ধ হয়ে গেল। তারপর তারা পিছু হটতে বাধ্য হলো। প্রথম দিনের লড়াইয়ে অর্থাৎ ২৬ তারিখের রাতেই শত্রুবাহিনীর ভীষন ক্ষতি হয়েছিল। শত্রুবাহিনীর কমাণ্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল ও একজন লেফটেন্যাণ্টসহ বিভিন্ন পক্ষের ১৫২ জন সাধারণ সৈনিক প্রাণ হারিয়েছিল। আমরা শত্রুদের দু'ট্রাক এম্যুনিশন কবজা করি; আমাদের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের চৌদ্দজন বীর সৈনিক শাহাদাৎ বরণ করেন।

 কুমিল্লায় লড়াই চলেছিল সর্বমোট তিনদিন। শত্রু এই সময়ের মধ্যে তাদের আর্টিলারি ও মর্টার দিয়ে বারবার আক্রমণ চালিয়েছিল আমাদের বাহিনীর উপর। আবশেষে ২৮ তারিখে তারা ত্রিমুখি আক্রমন চালায়। পিছন থেকে তারা নৌবাহিনীর সাহায্যে আক্রমণ চালায়। সাগর থেকে গানবোট দিয়ে ফায়ার সাপোর্ট দেয়। রাতের আঁধারে শত্রুরা পাহাড়ের উপর অবস্থিত টি,বি, হাসপাতালের নিকটে মেশিনগান বসায়। ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে আমাদের সৈণ্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ২৮ তারিখে কুমিরা পাকিস্তানী সৈন্যের দখলে চলে যায়। কুমিরা পতনের পর হানাদার বাহিনী চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হয়। তারা অগ্রসর হওয়ার সময় রাস্তার দুপাশে অবস্থিত সমস্ত গ্রাম ও হাটবাজার জ্বালিয়ে দেয় এবং সামনে যাকে দেখে তাকেই গুলি করে হত্যা করে। লোকমুখে শুনেছি কুমিরা পতনের পর রাস্তার দু'পাশে কয়েকদিন ধরে আগুন জ্বলেছিল।

 আমরা মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কুমিরার যুদ্ধটাই একমাত্র প্রথম যুদ্ধ, যেখানে বেঙ্গল রেজিমেণ্ট ও তৎকালীন ই-পি-আর বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর উপর এক প্রচণ্ড আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই যুদ্ধে ২৪ নং এফ-এফ'এর একটা পুরো কোম্পানী একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। একথা আমি জানতে পেরেছিলাম ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের কাছে। তিনি কুমিরার যুদ্ধে ২৪ নং এফ-এফ’এ কর্মরত ছিলেন।

চট্টগ্রামের প্রতিরোধ যুদ্ধ

সাক্ষাৎকার: লেঃ কর্নেল মাহফুজুর রহমান[১]

২৫-৮-৭৩

 Thursday, the 25th March 1971. All offers of 8 E. Bengal were ordered by Lt Col Abdur Rashid Janjua, CO of the Bn, to clear the barricades made by the public in different areas of the city of Chittagong. A complete passenger train was brought by the public in the darkness of last night and put on the main road railway junction as barricade at Sholashahar near our battalion location. One of the full company under Capt (now Major Sadeq Hossain and almost all offrs of the battalion incl Lt Col Janjua were there on the road railway junction to remove the train.

 All civ public from around and labors of the local Indutri9es assembled there and started shouting not to remove the barricade. Capt. Ahmed Din (one of the Pakistani offr) got annoyed and said-"the only medicine to stop these bastards is firing." Lu Col Janjua was worried to the extreme to remove the barricades so that 20 Baluch from the Cantt can rush for the help in case of any danger. IIc probably could not believe his own battalion even.

 With lot of efforts, however, the train was removed. It took us about 5-6 hrs to do that. More than hundred vehs got jammed on both side of the road because of the train-


  1. ১৯৭১ সালে লেফটেন্যাণ্ট পদে কর্মরত ছিলেন। সাক্ষাতকারটি বাংলা একাডেমীর দলিলপত্র থেকে সংকলিত।