বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চদশ খন্ড
পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। (৩) মুক্তিযুদ্ধ ও বাংরাদেশ সম্পর্কিত তথ্যমুলক রচনা, পুস্তিকাদি প্রকাশ করা ও অন্য সংগঠনকে প্রকাশ করতে সহায়তা করা। (৪) শরণার্থী শিক্ষকদের অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা ও সম্ভাব্য আর্থিক অনুদান। (৫) প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা দান এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয় বেসামরিক উপকরণ সংগ্রহ ও বিভিন্ন রনাঙ্গনে প্রেরণ করা। (৬) প্রচারনা ও মনস্তাত্বিক যুদ্ধে সহায়তা করা।
ইতিপূর্বে এপ্রিল মাসে “কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি” কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্যোগে গঠিত হয়। এই সমিতির প্রধান কর্মকর্তারা ছিলেনঃ সভাপতিঃ আধ্যাপক সত্যেন্দ্র নাথ, উপচার্য, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক পিকে, বোস, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কোষাধ্যক্ষঃ শ্রী এইচ এম মজুমদার, উপ-উপাচার্য (অর্থ সংক্রান্ত), কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্পাদকঃ অধ্যাপক দীলিপ চক্রবর্তী, অধ্যাপক অর্থনীতি বিভাগ, সিটি কলেজ, কোলকাতা। এখানে উল্লেখ্য যে এই দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে যায়। প্রায় একই সাথে সকল স্তরের বুদ্ধিজীবিদের সংগঠন বাংলাদেশ লিবারেশন কাউন্সিল অব ইণ্টেলিজেণ্টশিয়া গড়ে তোলা হয়। এর সভাপতি ছিলেন ডঃ খান সারওয়ার মুর্শেদ, সম্পাদক সহসম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান ও ড. বেলায়েত হোসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, এই সংগঠনের প্রযোজনায় জহির রায়হান 'Stop Genocide' ছবিটি নির্মাণ করেন। তরুণ লেখক ও সাংস্কৃতিসেবীদের উদ্যোগে গঠিত হয় “বাংলাদেশ সাংসাংস্কৃতিক সংগ্রাম শিবির প্রমুখ অনেকই এর সাথে যুক্ত ছিলেন। এই সংঠন মুলত কাজ করেছে- যেসব স্থানে শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সাথে স্থানীয় জনগণেরে শান্তি, সম্প্রীতি ও সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখার লক্ষে, তারা নানা স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা প্রচার করত। এছাড়া গঠিত হয় সাংবাদিক সমিতি ‘চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি’ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সমিতি’ বাংলাদেশ ভলাণ্টিয়ার্স কোর প্রভৃতি।
শিক্ষক সমিতি গঠিত হওয়ার সাথেই সমিতির প্রতিনিধিরা শরণার্থী শিবিরসমুহে ঘুরে এবং তালিকাভূক্ত হয়েছিলেন এদের মধ্যেঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ১৫০ কলেজ শিক্ষ ১০৫০; স্কুল শিক্ষক ৫০০০। সমিতি গঠিত হওয়ার সাথে সাথেই দুটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কামনা করে সমিতির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি প্রেরন করেন।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারী প্রতিনিধিদল অন্তর্ভুক্ত ছিলেনঃ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পক্ষে ড. এ আর মল্লিক ও ড. আনিসুজ্জামান, আর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির পক্ষে ড. অনিরুদ্ধ রায়, অধ্যাপক অনিল সরকার, সৌরিন্দ্রঃ ড. এ আর মল্লিক, ড. আনিসুজ্জামন ও জনাব কামরুজ্জমান।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করে সমিতি একটি ছাপানো আবেদনপত্র বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের ও শিক্ষক সংগঠনের কাছে প্রেরণ করে। আবেদনটি ছিল নিম্নরুপঃ
BANGLADESH SIKSHAK SAMITI
(Bangladesh Teachers Association)
Darbhanga Building, Calcutta University, Calcuua-12. India
Dear Friend, July 1, 1971
Perhaps you are aware that in face of unparalleled atrocities committed by the Pakistan Army on the people of Pakistan, now Bangladesh, a large number of