পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

374 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড ভাগ্নে ঃ আচ্ছা মামা, ইয়াহিয়া ভারত আক্রমণ করে কিভাবে বাঁচবার পথ পাবে? মামা : এই পরিষ্কার ব্যাপারটা বুঝতে পারলিনি হাদু। ইয়াহিয়া এখন ছাতা দিয়ে মাথা বাঁচাতে চায়। ইয়াহিয়া বেটা ভাবছে ভারতের সঙ্গে চুলকিয়ে ঘা করে যুদ্ধ বাধাতে পারলেই, রাষ্ট্রসঙ্ঘ সাদা পতাকা বাঁধা বাঁশ কাঁধে করে উভয়ের মাঝে এসে দাঁড়িয়ে বলবে- “থাম বাপ-সকল মারামারি করিসনে।” তারপর সিজ ফায়ার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তখন পাক-ভারত মীমাংসার জন্যে মাথা ব্যথা শুরু হবে। আর মুখ্য বাংলাদেশ সমস্যা তখন ধামাচাপা পড়বে। ব্যাস-খেল খতম! ভাগ্নে ঃ ইরি বাপ! খানের মাথায় এতো বুদ্ধি। মামা : শয়তানি বুদ্ধিতে খান সাহেবরা চিরদিনই ওস্তাদ ব্যক্তি। কিন্তু এসব বুদ্ধি লাসটিং করে না বেশীদিন। ভাগ্নে ঃ হা-হা-হা- মামা একেবারে রসে টুইটুম্বুর। বাংলার মানুষ আজ খান সেনার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। কিন্তু মামা ঠিক আছে। মামা : ঠিক থাকবো না কেন রে ছোঁড়া? আমিও বিয়ে করিনি-তুইও বিয়ে করলিনে? আমাদের কিসের চিন্তা? প্রয়োজনে অস্ত্র ধরবো। দেশের জন্য যদি মরি তাহলে জানবি-আমাদের বাপ-চোঁদপুরুষের পুণ্যের ফল। (কল্যাণ মিত্র রচিত) এ সত্য রুধিবে কে? ২৫ নভেম্বর, ১৯৭১ (একটি ঝোপের আড়ালে গভীর আঁধারে নারায়ণ পজিশন নিয়ে বসে আছে। দূরে মর্টার ও মেশিনগানের ক্রমাগত শব্দ শোনা যাচ্ছে। একটু কাছে সামান্য একটি শব্দ হোল-সঙ্গে সঙ্গে সে চ্যালেঞ্জ করে উঠলো) নারায়ণ : হল্ট। হু কামস দেয়ার? মাইকেল :৪ ফ্রেণ্ড। নারায়ণ ঃ পাস ওয়ার্ড। মাইকেল ঃ বুলেট পিলেট মর্টার, পিলেট পিলেট মর্টার। নারায়ণ :২৪ ও. কে. মাইকেল :ঃ তারপর এদিককার খবর কি নারায়ণ? নারায়ণ ঃ খুব চলছে অর্থাৎ খুব চালাচ্ছে জানোই তো, খান-সেনারা এখন হাওয়ায় গুলি ছোড়ে, আমরা ছুড়ি হয়তো একটা, আর ওরা ছুড়বে এক ধামা।