রুস্তম জমির ভাই কাজলীর মা : জমির ভাই কাজলীর মা ; জমির ভাই কাজলীর মা : জমির ভাই 『“、望 *ョ*豊
- リュ*豊
- 3
388 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড আমিও তাই বললাম। যুদ্ধ করছি, করব, কিন্তু শেখ মুজিব বলেছেন, দেশকে স্বাধীন করবো। তাই স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ আমরা করবই। ঠিক বলেছ রুস্তম। গ্রামে গ্রামে আজ এ জন্যেই আমরা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। যেখানেই দুশমনকে পাও, মারো-ইদুরের মতো মেরে মেরে খতম করো। এর জন্যই তো খানসেনারা শিবির থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। কখন কোনদিকে মারা পড়ে ঠিক আছে। মৃত্যুর ফাঁদ পেতে রেখেছে গেরিলাদল। আর সঙ্গে সহযোগিতা করছে বাংলার সংগ্রামী মানুষ। প্রতিটি বাড়ি হয়ে উঠেছে দুর্গ। প্রতিটি মানুষ হয়ে উঠেছে সৈনিক। ইয়াহিয়া বুঝতে পারেনি, না বুঝেই ভীমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছে। এখন ভীমরুলের কামড়ের চোটে চোখ-মুখ অন্ধকার। এখন তো খান সেনাদের অবস্থা ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি ভীরু কাপুরুষরা যতো অত্যাচার করছে, আমাদের মানুষের মনে সাহস এবং শক্তি ততোই বেড়ে যাচ্ছে। মানিককে বুঝিয়ে দিয়েছো তো শয়তান জ্বালাতে পারে, মারতে পারে না। সাড়ে সাত কোটি মানুষ যখন একযোগে লেগেছে-আমরা কামিয়াব হবোই। বর্বরদের তাড়াবোই আমরা। মনে বল ধরতে হবে, আল্লার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, এবং লড়াই করে যেতে হবে। তাই না? আমারও কথা তাই জমির ভাই। আজকের সংগ্রামে জনসাধারণের সাহায্য-সহযোগিতা এবং শক্তি সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন এবং সংগে সংগে দরকার অটুট মনোবল, আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে-আমরা জিতব, জিতব, জিতবই। আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূরণ হবেই। মানকেকে খুব বুঝালাম-ছোটমিয়া। তারপরে মানকের সে কি তড়পানি। বলে কিনা, ঠিক বলেছিস রুস্তম লড়াই যখন করছি, তখন আর ভাবব না, দুশমনকে তাড়িয়ে তবে আরাম করবো। মানকে আবার আশফাক ভাইয়ের কাছে গেলো। রক্ষীবাহিনীতে নাম লেখাতে, না? ঠিকই করেছে। পঙ্গুও মনের জোরে পাহাড় ডিঙায়। আর আমাদের তো সবই আছে। কি ব্যাপার জমির ভাই, কথায় কথায় তোমাদের খেয়ালই নাই। কি হলো আবার? গান শুনবে না? ছোটমিয়া একটা গান শোনাও। ওহো, আমারও খেয়াল নেই। আচ্ছা এবার তাহলে একটা গান শোন, দেশাত্মবোধক গান। (দেশাত্মবোধক গান)
