পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজলীর মা

  1. 3

389 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ পঞ্চম খন্ড গান তো শোনা হলো, হাতে সময়ও নাই আর-চলো আজকের মতো উঠি। ঃঃ চলো, জমির ভাই, রুস্তম চলো যাই। চলো, চলো। (মুস্তাফিজুর রহমান রচিত) জনতার আদালত ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১ কুকড়া

      • * *、
  1. 3
  2. 3

শুন রাসুবু আমি খুব ভালো করা বুঝ্যা লিয়্যাছি, আমাধের দুষমুন আমাধেরই শায়েস্তা কইরতে হবে। তুমি যে একটু আগে বুলল্যা, দানেশ মিয়ার ব্যাটা রাজাকারে ভর্তি হয়া ধরাখে সরা জ্ঞান করছে-তা ঠিক। আইজক্যাল ওই খালি লুটপাটই কইরছে না, আরো ম্যালা কিছু আছে। ?? আরে খুলে না বললে কি আর আমি জানিনে। দানেশ মিয়ার ছেলে রহিম তো পাণ্ডা, ওর সাথে যোগ দিয়েছে মোমিন বেপারীর শালা আর কালু মিস্তিরীর ভাই। সেদিন দেখো না বলা নাই কওয়া নাই, একদল মিলে এসে আমার গাছের ডাবগুলো পেড়ে নিয়ে গেল, কি না ওদের কে অফিসার এসেছে, সে খাবে। শোন কথা, বেটারা যেন সব বাপের সম্পত্তি পেয়েছে। তা কে বলতে যাবে বল আমার বোনের ছেলেটা গিয়ে জিজ্ঞেসে করেছে, তাতেই রাগ কতো, এই মারে কি সেই মারে। তুমার ডাব খায়্যাছে। আমার একদিন জাল দিয়া মাছ মার্যা লিয়্যা গিয়্যাছে। আমি ছিল্যাম না, না হোলে সেদিন আর জান লিয়্যা যাত্যে দিতাম না। আমিও তক্কে তক্কে আছি, আর একদিন পাল্যে হয়। ?? আরে শুধু ফল পাকুড় গেলে তো কথাই ছিল না। ওদের জালাতে আজকাল বো- বিটারই কি ঘাট-ঘাটালীতে যাওয়ার জো আছে। সেদিন আমেনা বুবুর বড়ো মেয়েটাকে পানি নিয়ে আসার সময় ধরে, সে যা-তা, আমেনা বুবু যখোন গিয়ে বলল- হ্যাঁরে রহিম, এক পাড়ার ছেলেমেয়ে, আমার বাশেরা কি তোর বোন নারে। তো সে হারামজাদা কথায় তো কান দিলই না, যা-তা বলতে শুরু করলো মনে হয় নোড়া দিয়ে ওর মুখ ভেঙ্গে দিই। আমিও শুন্যাছি আবার হইচই হ্যয়াছিল বুল্যা নাকি রহিম আমেনা বুবুকে শাসিয়্যা গেছেবাশেরাকে চুরি করা লিয়্যা যাবে বুল্যা। শুন কথা, দিন দিন হচ্ছে কি? আমাধের সহ্যের বাহেরে চল্যা গেলছে, মোড়ল ভাই আসুক, তুমরাও সবাই আছ, আজই ওদেরকে ডাকা আন্যা আমরাই ওদের বিচার করব। তুমরা সবাই মোড়ল ভাইকে বুলব্যা। আইজই য্যানে একটা ব্যবস্থা করে। মোড়ল :ঃ কি ব্যাপার, কুঁকড়াকে একটু উত্তেজিত মনে হচ্ছে যেন। নোতুন কিছু ঘটেছে নাকি?