যুবসম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবাবলী
আমলাতান্ত্রিক গাফিলতির মুখোশ খুলিয়া দাও
জনগণের প্রতিরোধ গড়িয়া তোল
পূর্বপাকিস্তানে খাদ্যসমস্যা প্রকট হইয়া উঠিয়া যশোহর জেলায় ৪০ টাকা, খুলনায় ৩৮ টাকা, পাবনা নদীয়ায় ৩৫ টাকার উপরে চাউলের দর চলিতেছে। ২২/২৪ টাকার নীচে কোন জেলাতেই চাউল পাওয়া সম্ভব নয়। এক কথায় বলিতে গেলে পূর্ব্ব পাকিস্তানে খাদ্যের মূল্য জনসাধারণের নাগালে বাহিরে চলিয়া গিয়াছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইহা দ্বিতীয় খাদ্য সংকট।
এই সংকট সমাধানে সরকারের তরফ হইতে এক বিবৃতি দেওয়া ছাড়া অন্য কোনই চেষ্টা হইতেছে না। খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ সম্পর্কে সরকারী নীতি খাদ্য সংকটকে আরও প্রকট করিয়া তুলিতেছে। এখন পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা হয় নাই। বড় জোতদার ও মজুতদারদের স্পর্শ না করিয়া সাধারণ কৃষকের নিকট হইতে ধান চাউল সংগ্রহ করাই সরকারের নীতি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। মজুতদার ও জোতদারকে তোষণ করিয়া কৃষকের ধান সীজ করিবার নীতিতে খাদ্য সংগ্রহ হইতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ বিদেশ হইতে খাদ্য আমদানীরও কোন ব্যবস্থা হইতেছে না। যে খাদ্য বর্ত্তমানে সরকার সংগ্রহ করিয়াছেন তাহাও সঠিকভাবে সরবরাহ হইতেছে না।
খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ এইরূপ চলিতে থাকায় ৪ কোটি ৪০ লক্ষ লোকের পূর্ব পাকিস্তান আজ এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সামনে উপস্থিত হইয়াছে।
রাজশাহী বিভাগীয় যুব সম্মেলন ভয়াবহ উদ্বেগের সঙ্গে এই পরিস্থিতি লক্ষ করিতেছে। খাদ্য সমস্যার আশু সমাধানের জন্য অবিলম্বে নিলিখিত কর্ম্মপদ্ধতি গ্রহণ করিবার জন্য এই সম্মেলন সরকারের নিকট দাবী করিতেছেঃ