আমদানীর কোন ব্যবস্থা হইতেছে না। ডাক্তারী শিক্ষার জন্য মেডিক্যাল স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। স্বাধীন পাকিস্তানে জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নূতন ব্যবস্থা হওয়া দূরের কথা যেটুকু ব্যবস্থা আছে সরকারের অবহেলায় তাহাও বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছে। সরকারী হাসপাতালগুলিতে ঔষধ নাই, দুর্নীতিতে পূর্ণ। পল্লীর জনস্বাস্থ্য রক্ষার যেটুকু ব্যবস্থা ছিল তাহাও জনস্বাস্থ্য কর্মচারীদের ছাঁটাই করিয়া ধ্বংস করিবার পরিকল্পনা চলিতেছে। এই সম্মেলন সরকারের জনস্বাস্থ্যবিরোধী মনোভাবের তীব্র নিন্দা করিতেছে এবং অবিলম্বে জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি কার্যকরী করিবার দাবী জানাইতেছে এবং এই ব্যবস্থাগুলি যাহাতে সরকার কার্য্যকরী করেন তার জন্য আন্দোলন গড়িয়া তুলিতে এই সম্মেলন জনসাধারণ এবং যুবসমাজকে আহবান জানাইতেছে।
সাংগঠনিক প্রস্তাবাবলী
উপরোক্ত প্রস্তাবগুলি ছাড়া সম্মেলনে নিম্নলিখিত বিষয়ে চারিটি সাংগঠনিক প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছেঃ
- রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটি গঠন।
- রাজশাহী শহরে আঞ্চলিক অফিস স্থাপন।
- আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ হইতে ‘যুব অভিযান’ নামে পাক্ষিক প্রচারপত্র প্রকাশ।
- প্রাদেশিক যুবলীগ সম্মেলন আহবানের জন্য প্রাদেশিক কমিটিকে অনুরোধ।
যুব অভিযান
গণতান্ত্রিক যুবলীগের রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির তরফ হইতে ‘যুব অভিযান' নামে একখানা পাক্ষিক প্রচারপত্র বাহির করিবার সিদ্ধান্ত লওয়া হইয়াছে। এই প্রচার পত্রিকার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। রাজশাহী বিভাগের প্রত্যেক জেলা, মহকুমা এবং প্রাথমিক যুবলীগ কমিটিগুলিকে অর্থ সংগ্রহ করিয়া পাঠাইবার জন্য আবেদন করা যাইতেছে। কেহ সরাসরি সাহায্য পাঠাইলেও সাদরে গৃহীত হইবে। যুব আন্দোলনকে বেগবান করিতে হইলে প্রচারপত্রের প্রয়োজনীয়তা কতখানি তাহা বলা বাহুল্য।
বিভিন্ন যুবলীগ কমিটি কতখানি ‘যুব অভিযান’ লইতে চান তাহা অবিলম্বে জানাইবেন। যেখানে যুবলীগ গঠিত হয় নাই সেখানকার কোন যুবকর্মী ব্যক্তিগতভাবে ‘যুব অভিযান’ লইতে ইচ্ছুক থাকিলে বিভাগীয় অফিসে জানাইবার জন্য আবেদন করা যাইতেছে।
পোঃ ঈশ্বরদী, পাবনা।
* ১৯৪৭ সনে পূর্ব পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই ঢাকা রাজশাহী ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় এর শাখা খোলা হয়, কিন্তু তীব্র পুলিশী নির্যাতন ও ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের গুণ্ডাদের অত্যাচারের ফলে ১৯৪৮ সালের শেষ দিকে এই সংগঠনের বিলুপ্তি ঘটে।