পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খন্ড
৭০৪

জনাব মফিজুদ্দিনের বিবৃতি

 বাংলাকে রাষ্ট্রভাষারূপে দেখিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।.... পাকিস্তান গণপরিষদ এইরূপ একটি জনপ্রিয় দাবীকে এড়াইয়া চলিবে, তাহা মুহূর্তের জন্যও আমি ধারণা করিতে পারি না। খোদা না করুন যদি গণপরিষদে এ সম্পর্কে আলোচনা করিবার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহা হইলে গণপরিষদের পূর্ব বঙ্গীয় সদস্যগণের উপরই পরবর্তী দায়িত্ব পালিত হইবে।

 জনাব মফিজুদ্দিন আরও বলেন যে, ব্যবস্থা পরিষদ যখন ভাষা সংক্রান্ত দাবী গৃহীত হইয়া গণপরিষদের বিবেচনাধীন রহিয়াছে, তখন শহরে পূর্ণ শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ না করার কোন কারণ থাকিতে পারে বলিয়া আমি মনে করি না।

 তিনি আরও বলেন যে, শহরে পূর্ণ শান্তি ফিরাইয়া আনার জন্য প্রত্যেককে চেষ্টা করিতে আমি অনুরোধ জানাইতেছি। কারণ এই অস্বাভাবিক অবস্থা বর্তমান থাকিলে পাকিস্তানের দুশমনরাই কেবল আনন্দিত হইবে।

 জনসাধারণ ও ছাত্রগণের রাষ্ট্রানুগত্যের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রহিয়াছে। তাহারা কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হইতে দিবে বলিয়া আমি মনে করি না।

পাকিস্তান অবজারভার-এর উপর হইতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীঃ

সম্পাদক পরিষদের সভায় প্রস্তাব গ্রহণঃ পূর্ব বংগ সরকারের আচরণের নিন্দা

 লাহোর, ২৪ শে ফেব্রুয়ারী- অদ্য এখানে ‘ডন’ সম্পাদক জনাব আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সম্পাদক পরিষদের সভায় ঢাকার ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকা সম্পর্কে অবলম্বিত সরকারী ব্যবস্থার নিন্দা করিয়া এবং অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবী জানাইয়া প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।......

চাঁদা দাতাদের প্রতি হুঁশিয়ারী

 সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের দফতর হইতে বলা হইয়াছে যে, বিভিন্ন লোক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের নাম করিয়া জনসাধারণের নিকট হইতে চাঁদা আদায় করিতেছে। এই জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করা হইতেছে যে, তাহারা যেন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বায়ক (কে.জি মাহবুব)-এর দস্তখতযুক্ত ছাপা রসিদ না লইয়া বা সীলবিহীন চাঁদার বাক্সে চাঁদা না দেন।