পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খন্ড
৭১৯
শিরোনাম সূত্র তারিখ
পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক সভায় আতাউর রহমান খানের বাংলায় বাজেট বক্তৃতা পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক সভার কার্যবিবরণী ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬

EAST PAKISTAN ASSEMBLY PROCEEDINGS

OFFICIAL REPORT OF THE THIRD SESSION, 1956

Volumne XV, No. 1.

17th September, 1956

BUDGET ESTIMATES, 1956-57

MR. ATAUR RAHMAN KHAN: আমি ১৯৬৫ সালের ১লা অক্টোবর হইতে ১৯৫৭ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের বাজেটের আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ পেশ করিতেছি। পরিষদের সদস্যগণ অবগত আছেন যে গণপরিষদ গত মার্চ মাসে একটি আইন পাস করিয়া চলতি আর্থিক বৎসরের এপ্রিল ও মে মাসের ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর করিবার জন্য গভর্ণরকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করেন। তদানুসারে গভর্ণর এপ্রিল ও মে মাসের বরাদ্দকৃত ব্যয় মঞ্জুর করিয়াছেন। গত ২৬শে মে তারিখে শাসনতন্ত্রের ১৯৩ ধারা মোতাবেক প্রেসিডেণ্ট একটি ঘোষণা প্রচার করেন। উক্ত ঘোষণা অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রাদেশিক আইন সভার ক্ষমতাবলী পার্লামেণ্ট কর্তৃক গৃহীত হয়। কিন্তু তখন জাতীয় পরিষদের কার্য বন্ধ থাকার দরুন প্রেসিডেণ্ট শাসনতন্ত্রের ১৯৩ ধারার (৩) উপ-ধারার (গ) দফায় এবং ২৩০ ধারার (১) উপ-ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৫৬ সালের ১লা জুন হইতে ৩১ শে আগষ্ট পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের রাজস্ব হইতে ব্যয় মঞ্জুর করেন। অনুরূপভাবে ৩১শে আগষ্ট তারিখেও প্রেসিডেণ্ট পূর্ব পাকিস্তানের রাজস্ব হইতে ১লা সেপ্টেম্বর হইতে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য আবশ্যকীয় ব্যয় মঞ্জুর করিয়াছেন। এইসব কারণ আমি এখন চলতি আর্থিক বৎসরের অবশিষ্ট ছয় মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাবই পেশ করিতেছি মাত্র। এই সঙ্গে আমি সভার সদস্যদের অবগতির জন্য গভর্ণর এবং প্রেসিডেণ্ট কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত টাকার হিসাব-নিকাশ পাশাপাশি দেখাইয়াছি এবং মঞ্জুরীকৃত টাকা সমেত সারা বৎসরের মোট ব্যয়ের হিসাবও প্রদর্শন করিয়াছি।

 আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন সরকার সবেমাত্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। বিগত সাধারণ নির্বাচনে জনসাধারণকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মাফিক এই সরকার ২১ দফা কর্মসূচী কার্যকরী করিতে আপ্রাণ চেষ্টা করিবেন। বিগত কয়েক বৎসরে দেশের সমস্যার সমাধান তো হয়ই নাই বরং নতুন নতুন সমস্যা বৃদ্ধি পাইয়াছে। প্রদেশের জনগণ তাই আজ অন্তহীন। সমস্যার সম্মুখীন; আমাদের সরকার এইসব সমস্যা সমাধানে বর্তমান তৎপর রহিয়াছে। প্রকৃত সমাধান যদিও সময়সাপেক্ষ তবুও আশা করা যায় যে সত্বরই দেশের বর্তমান সমস্যাগুলির যথেষ্ট উন্নতি সাধন সম্ভবপর হইবে। নূতন মন্ত্রীসভাকে কার্যভার গ্রহণ করিয়া পক্ষকালের মধ্যেই বাজেট পেশ করিতে হইতেছে। এই স্বল্পকালের ভেতর কোন বিশিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজেট পেশ করা সম্ভব নয়। আগামী জানুয়ারী মাসে যখন বর্তমান বৎসরের সংশোধিত বাজেট ও ১৯৫৭-৫৮ সনের জন্য নূতন বাজেট পেশ করা হইবে, তখন মন্ত্রীসভা দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করিয়া বাজেটের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের জন্য পরিষদের সম্মুখীন হইবে।