পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

154 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড শিরোনাম সংবাদপত্র তারিখ বাংলাদেশের সংগ্রামী জনগণের সহিত মুক্তিযুদ্ধ ১০ অক্টোবর, ১৯৭১ আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট আন্দোলনের ১ম বর্যঃ ১৪শ সংখ্যা দৃঢ় সংহতি জ্ঞাপন বাংলাদেশের সংগ্রামী জনগণের সহিত আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট আন্দোলনের দৃঢ় সংহতি জ্ঞাপন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট আন্দোলনের দৃঢ় সমর্থন ও সংহতি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির নবম কংগ্রেসের মধ্যে দিয়া পরিস্কাররূপে ফুটিয়া উঠিয়াছে। কংগ্রেসে গৃহীতব্য সি পি আই জাতীয় কাউন্সিলের রাজনৈতিক রিপোর্ট ও খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশের সংগ্রামের প্রতি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির সর্বাত্মক সমর্থন পুনরায় ঘোষণা করা হয়। ইহা ছাড়া কংগ্রেসে যোগদানকারী সোভিয়েত ইউনিয়ন, তাহাদের ভাষনে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি ও সংগ্রামী জনগণের সহিত সংহতি জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিনিধিদলকে যেরূপ বীরোচিত সম্মান দেওয়া হয় উহার মধ্যে দিয়া বাংলাদেশের সংগ্রামের উচ্চ মূল্যায়নের আন্তরিক অভিব্যক্তিই প্রকাশ পাইয়াছে। ভারতের কেরালা রাজ্যের ঘাটে নগরে (কোচিন) গত ৩রা অক্টোবর ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির এই গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস শুরু হয়। ১০ই অক্টোবর কংগ্রেস সমাপ্ত হইবে। বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক কমরেড আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই কংগ্রেসে যোগ দিয়াছেন। ইহা ছাড়াও আরও বিশটি বিদেশী ভ্রাতৃসুলভ পার্টির প্রতিনিধিবর্গ এই কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করিতেছেন। কমরেড সালাম বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের নেতা কমরেড আবদুস সালম কংগ্রেসের প্রতিনিধি, দর্শক ও অতিথিদের তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের মুক্ত আন্দোলনের পটভূমি ও প্রগতিশীল চিত্র ব্যাখ্যা করেন। তিনি এই সংগ্রামকে জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের ন্যায্য লড়াই বলিয়া অভিহিত করেন এবং আন্তজাতিক কমিউনিষ্ট ও শ্রমিক আন্দোলন এবং পৃথিবীর সকল প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ইহার সমর্থনে দৃঢ়ভাব দাড়াইবার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। কমরেড সালাম বাংলাদেশের শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের আন্দোলনে কমিউনিষ্ট পার্টির অগ্রনী ভূমিকার কথা উল্লেখ করিয়া বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরচার শাসন ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জাতীয় অধিকারের সংগ্রামে কমিউনিষ্ট পার্টি সর্বদা সর্ব-অবস্থায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করিয়াছে। বর্তমান স্বাধীনতার লড়াইয়েও কমিউনিষ্ট পার্টি অন্যান্য সংগ্রামী শক্তির সহিত কাধে কাধ মিলাইয়া অস্ত্র হাতে লড়াই করিতেছে। কমরেড সালম বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অভিনন্দন বানী ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির হাতে অর্পণ করেন। অভিনন্দন বানীতে বাংলাদেশের পার্শ্বে সর্বশক্তি লইয়া দাড়াইবার জন্য ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি, সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও ভারতের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান হয়।