পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড
3

 বাংলা মুক্তিবাহিনী, পুলিশ আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহিত সর্বপ্রকার সহযোগিতা করিবেন। মনে রাখিবেন হয় আমরা জয়ী হইব, নতুনা ধ্বংস হইব। মাঝামাঝি কোন পথ আর নাই।

 সংগ্রাম পরিষদের সদস্যদের নানা প্রকার গুরুত্বপূর্ণ কাজে এখানে-ওখানে ছুটাছুটি করিতে হইতেছে বলিয়া অনেক সময় জনসাধারণের তাহদের সহিত যোগাযোগ করিতে অল্প-স্বল্প অসুবিধা হইতেছে। আমরা মনে করি জনসাধারণের সহিত সর্বক্ষণ যোগাযোগ রক্ষার সুবিধার্থে মহকুমা প্রশাসকের দপ্তরে সরকারী কর্মচারীরেদ রোষ্টার ডিউটি দিয়া একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা প্রয়োজন। সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশের আওতার মধ্যে উক্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হইতে বিশেষ বিশেষ কাজ-যেমন পেট্রোল, কেরোসিন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের কাজ সুষ্ঠভাবে চলিতে পারে। ইহাকে উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ নাম দেওয়া যাইতে পারে।

কোরানের বাণী

“..... যদি কেহ তোমাকে আক্রমণ করে তবে ঠিক সেইভাবেই তুমি তাহাকেও আক্রমণ কর....”

(সুরা বাকারা-১৯৪ আয়াত)

“.... অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই কর-ধর্ম আল্লাহরই। যদি তাহারা বিরত হয় তবে শুধুমাত্র অত্যাচারীদের ছাড়া অপর কাহারও উপর বিদ্বেষ না রাখাই শ্রেয়....”

(সুরা বাকারা-১৯৩ আয়াত)

‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।


“ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।”
- বঙ্গবন্ধু
(ঘোড়দৌড় মাঠ, ঢাকা, ৭ই মার্চ)

“তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালাইয়া যাও।” -মওলানা ভাসানী

(পোলোগ্রাউণ্ড, চট্টগ্রাম-২১শে মার্চ)}}